যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে অবিলম্বে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বিকেলে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মিছিল করে সংগঠনটি। এতে অংশ নেন প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী।

সমাবেশে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। কিন্তু শিক্ষা যদি হয় অটোপাস, তবে জাতি হবে মেধাশূন্য। শিক্ষার্থীরা আজ বই-খাতা রেখে জীবিকার তাড়নায় কাজে নিয়োজিত হচ্ছে। অনেকেই শিক্ষার আশা ছেড়ে দিচ্ছে। অপর দিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে। মাদক, ইয়াবা ও শিশু ধ্বংসাত্মক ডিভাইস তাদের নিত্য সঙ্গী হচ্ছে। এভাবে জাতিকে বোকা বানিয়ে একটি মেধাহীন প্রজন্ম তৈরি করে দেশকে অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। 

সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন বলেন, শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে। শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী মহল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা, সকলেই সরকারকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য বার বার তাগিদ দিয়ে আসলেও কারো কথায় কর্ণপাত না করে সরকার একগুঁয়ে আচরণ করে যাচ্ছে। অনতিবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দিলে সরকার আবারও এসএসসি ও এইচএসসিতে অটোপাস দিতে বাধ্য হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট বাড়বে। তাই অটোপাস নয়, সেশনজট নয়, শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় মনযোগ ফেরাতে অতিসত্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে ৩০ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এতেও দাবি আদায় না হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিরও ঘোষণা দেওয়া হয় সমাবেশ থেকে। 

ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম শোয়াইবের সঞ্চালনায় আয়োজিত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক ইউসুফ আহমাদ মানসুর, দাওয়াহ ও অফিস সম্পাদক এইচ এম সাখাওয়াত উল্লাহ, প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মাদ ইবরাহীম হুসাইন, প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক নূরুল বশর আজিজী, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক এম এ হাসিব গোলদার।  

এইচআর/এনএফ