রাশেদ খান
রাঘববোয়ালরা আসামিদের জামিন করাতে বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করছে
রাঘববোয়ালরা আসামিদের জামিন করাতে বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ করছে। তাই যদি হয়, তবে কীসের রাষ্ট্র সংস্কার, কীসের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা? আমাদের স্পষ্ট কথা, দোষীদের ছাড় দেওয়া চলবে না। এমন মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আহত ফারুক হাসানকে দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
রাশেদ খান বলেন, কেন এ হামলা? এ হামলার ইন্ধনদাতা কারা? শোনা যাচ্ছে, রাঘববোয়ালরা আসামিদের জামিন করাতে বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ করছে। তাই যদি হয়, তবে কীসের রাষ্ট্র সংস্কার, কীসের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা? আমাদের স্পষ্ট কথা, দোষীদের ছাড় দেওয়া চলবে না। গণঅভ্যুত্থানে দুই শ্রেণির মানুষ আহত হয়েছেন। আন্দোলনের পক্ষে এবং আন্দোলন প্রতিরোধ করতে গিয়ে। গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধের শক্তি এখন আহত লীগে পরিণত হয়েছে। এরা কখনো স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জিম্মি করছে, কখনো আহত লীগের মধ্য থেকে উপদেষ্টা দাবি করছে, কখনো সড়ক অবরোধ করছে। প্রকৃত আহতরা হাসপাতালের বিছানায়। আর অপরাধীরা বিভিন্ন জায়গা কুকর্ম করছে।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, যারা ফারুক হাসানের ওপর হামলা করেছে এরা হাসিনার প্রেতাত্মা। এদের কোনো ছাড় নেই, ক্ষমা নেই। যদি এরা জামিন পায়, তবে ধরে নেব, এটা কোনো ছোটখাটো বিষয় না। বড় উদ্দেশ্য নিয়ে ফারুক হাসানের ওপর হামলা করা হয়েছে। কেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না, কীভাবে ওবায়দুল কাদের পালিয়ে গেল? শেখ পরিবারের একজনও কেন আটক হলো না? এখনো শহীদ পরিবার ক্ষতিপূরণ পেল না, শহীদের তালিকা হলো না, কেন আহতরা সুচিকিৎসা পাচ্ছে না। এ কথা বললে আজকাল মার খেতে হচ্ছে।
গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আমার ওপর যারা শহীদ মিনারে হামলা চালিয়েছে তারা কেউই আহত নন কিংবা শিক্ষার্থী নন, তারা পরিষ্কারভাবে সন্ত্রাসী। সরকার এই সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতেও গড়িমসি করছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে যে হামলাকারীদের সঙ্গে তাদের ভালো একটা কানেকশন আছে। তারা আমার কাছে লোক পাঠিয়েছিল আপস করার জন্য। কিন্তু আমি জানিয়েছি ভুলের ক্ষমা হয় অপরাধের কোনো ক্ষমা হয় না। আমি হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছি এ অবস্থায় তারা জামিন পেয়ে গেল? এই কি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা? এ রাষ্ট্রের আদৌ সংস্কার হবে?
দলটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন বলেন, ফারুক হাসানের ওপর হামলা এবং হামলাকারীদের জামিনের মধ্য দিয়ে এটাই প্রমাণিত হয় বিচার বিভাগ এখনো স্বাধীন হয়নি। প্রকাশ্য দিবালোকে শহীদ মিনারে ফারুক হাসানের ওপর হামলা হয়েছে, সেই হামলার ভিডিও থাকার পরও আসামিদের জামিন দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থা ছিল আওয়ামী লীগ শাসনামলে, তাহলে আর কীসের সংস্কার হলো জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে?
এমএম/এসএসএইচ