জনগণের অংশগ্রহণেই নির্ধারিত হবে আমরা কি চাই : সাকি
একাত্তরের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে স্বাধীনতা পরবর্তী সরকারগুলো ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, চব্বিশে এর পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না। জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচারই হবে এই রাজনৈতিক বন্দোবস্তের অঙ্গীকার।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তনে কুমিল্লা জেলা কমিটির উদ্যোগে ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা’র দাবিতে গণসংলাপে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
সাকি বলেন, ফ্যাসিবাদ শিখিয়ে গেছে আমরা কি চাই না। জনগণের অংশগ্রহণেই নির্ধারিত হবে আমরা কি চাই।
সম্প্রতি সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা নাশকতার অংশ কি না সেটা রাষ্ট্রের সমস্ত শক্তি দিয়ে তদন্ত করতে হবে। এর জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আরও পড়ুন
দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, শহীদদের রক্তের ঋণই হচ্ছে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা। জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই সত্যিকার রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক বদল ঘটানো সম্ভব। গণসংহতি আন্দোলন সে কারণেই দেশব্যাপী গণসংলাপের আয়োজন করে জনগণের মতামত গ্রহণ করছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যে সর্বাধিক মনোযোগ দিয়ে সুস্থ দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশ তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিতে এগোবে। আর এরকম দেশ গড়ে তোলার জন্য সাংবিধানিক, রাজনৈতিক, বিচার বিভাগীয় সংস্কার এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাই হতে হবে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের অগ্রাধিকার।
গণসংলাপে আরও বক্তব্য দেন রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য হাসান মারুফ রুমী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য রতন তালুকদার, কুমিল্লা বিএনপির মহানগর আহ্বায়ক উদবাতুল বারী আবু, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মোসলেহ উদ্দীন আহমদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের জেলা সহ সভাপতি মোতাহার হোসেন বাবুল প্রমুখ।
এএইচআর/এসএসএইচ