ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনে জড়িত আগস্ট বিপ্লববিরোধী দেশি-বিদেশি কুচক্রী মহল সচিবালয়ে অগ্নিসংযোগে জড়িত বলে অভিযোগ করেছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ।

সংগঠনটির দাবি, নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্তদের সহযোগিতা ছাড়া সচিবালয়ে ১০ ঘণ্টা ধরে আগুন জ্বলা সম্ভব নয়। তাই দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। 

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছেন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ ও সদস্য সচিব ফজলুর রহমান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী শাসক শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই সচিবালয়কে লক্ষ্য করে একের পর এক অস্থিরতার জন্ম দেওয়া হয়েছিল। এক পর্যায়ে আনসার বিদ্রোহের নামে সচিবালয় দখল করা হলে বিপ্লবী ছাত্ররা সচিবালয় রক্ষা করে। এরপর থেকে সচিবালয়কে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সার্বিক কঠোর নিরাপত্তার আওতায় আনা হলে পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক হয়ে আসে। কিন্তু হঠাৎ করে প্রশাসন ক্যাডাররা আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেওয়ার পর পরই বুধবার গভীর রাতে সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে দুই ছাত্র উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কার্যালয় ভস্মীভূত হয়ে যায়। ফলে এটি সহজেই বোঝা যায় যে, গোটা সরকারের মধ্যে শুধু আগস্ট বিপ্লবের ভ্যানগার্ড ছাত্র প্রতিনিধিদেরই টার্গেট করা হয়েছে। 

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ নেতৃদ্বয় বলেন, দুই ছাত্র উপদেষ্টার মন্ত্রণালয় টার্গেট করে অগ্নিসংযোগ করায় সচিবালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বে নিযুক্ত সবাইকে বরখাস্ত করে তদন্তের আওতায় আনা অত্যাবশ্যক। তাহলে এটিও বের হয়ে আসবে যে, তারা কে বা কার নির্দেশে সচিবালয়ে নাশকতা প্রতিহত করেনি।

এমএ