আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, সঠিক মূল্যায়ন ছাড়া কর্ণফুলী টানেল এবং ফ্লাইওভারগুলোর মতো লুটপাটের প্রকল্প না করে একই বাজেট দিয়ে খুলনা বা বাগেরহাট থেকে কক্সবাজার উপকূলীয় অঞ্চলকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্প তৈরি করতে পারলে লাখ লাখ তরুণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হতো। লুটপাটের উন্নয়ন চট্টগ্রামবাসীর ভোগান্তি বাড়িয়েছে।

তিনি বলেন, পর্যাপ্ত এক্সিট পয়েন্ট না থাকায় এই ফ্লাইওভারগুলো যানজট বাড়িয়েছে, কমায়নি। তাহলে ফ্লাইওভারগুলো দিয়ে চট্টগ্রামের কী উন্নয়ন হলো?

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এবি পার্টি চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ ও আত্ম-মর্যাদাবোধের প্রশ্নে কোনো ছাড় নেই। বাংলাদেশ নিয়ে যারা চক্রান্ত লিপ্ত তাদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছি। চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারকে ঘিরে পর্যটন, মৎস্য এবং জাহাজ ভাঙা শিল্পের বিকাশ হওয়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ সময় এবি পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক, যুগ্ম আহ্বায়ক ছিদ্দিকুর রহমান, সহকারী সদস্যসচিব সৈয়দ আবুল কাশেম ও অর্থ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার যায়েদ হাসান চৌধুরীসহ স্থানীয় নেতারা। 

মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মহানগর নিয়ে পাঁচ দফা প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন এবি পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সদস্য সচিব এবং চট্টগ্রাম মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক ছিদ্দিকুর রহমান। এর মধ্যে রয়েছে- চট্টগ্রাম মহানগরকে সিটি গভর্নমেন্টে উন্নত করা এবং এর জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, বন্দর থেকে অর্জিত রেভিনিউর অংশীদারিত্ব এই সিটি গভর্নমেন্টের জন্য নিশ্চিত করা, কর্ণফুলী নদী ও খালগুলোর যুগোপযোগী সংস্কার এবং নগরী সম্প্রসারণ প্রকল্প নিশ্চিত করে জলাবদ্ধতা ও যানজটের সমস্যার সমাধান করা, চট্টগ্রামকে ব্যবসা ও আমদানি-রপ্তানির হাব হিসেবে প্রস্তুত করা, পরিবেশ বিপর্যয় রোধে পাহাড় পুনরুদ্ধার করার ব্যবস্থা করা।

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, আমাদের বঙ্গোপসাগর থেকে মায়ানমার এবং ভারতীয় জেলেরা মৎস্য আহরণ করে নিয়ে যায়। অথচ আমাদের জেলেদের পর্যাপ্ত আধুনিক মাছ ধরার জাহাজ এবং প্রশিক্ষণ না থাকায় তারা গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণ করতে পারছে না। সমুদ্র বিজয়ের নামে বাটপারি করে, আমাদের সমুদ্র এলাকা থেকে ভারত এবং মায়ানমার তেল গ্যাস নিয়ে যাচ্ছে। অথচ বাপেক্সকে দায়িত্ব দিয়ে, সক্ষমতা বাড়িয়ে তেল গ্যাস উত্তোলনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। 

তিনি চট্টগ্রাম উন্নয়নে এবি পার্টির দেওয়া পাঁচ দফার ভিত্তিতে চট্টগ্রামবাসীকে সংগঠিত হওয়ার এবং সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। 

এমআর/এমএ