চট্টগ্রামে বিএনপির একাংশের সমাবেশে অপরপক্ষ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে হাটহাজারী পৌরসভার কনক কমিউনিটি সেন্টারে হামলার এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী।

ভুক্তভোগী পক্ষের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের অনুসারীরা এ হামলা চালিয়েছে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে হাটহাজারী বিএনপি দলটির প্রয়াত নেতা সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে ব্যারিস্টার শাকিলা এবং ব্যারিস্টার মীর হেলাল দুটি ধারায় বিভক্ত। সোমবার পৌরসভার কনক কমিউনিটি সেন্টারে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সমাবেশ করে ব্যারিস্টার শাকিলার অনুসারীরা। সমাবেশ চলাকালে ব্যারিস্টার মীর হেলালের অনুসারীরা হঠাৎ হামলা চালায়। এ সময় কনক কমিউনিটি সেন্টার ভাঙচুর করা হয়। তখন আহত হন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল উত্তর জেলার সাবেক সদস্য আকরাম উদ্দীন পাভেল, পৌর যুবদল নেতা রাশেল, ওয়াসিম, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. সাহাব উদ্দীন, ওয়ার্ড যুবদল নেতা বিজয় কুমার চৌধুরী, জসিম, বাবলু, শাকিল, মহরম আলী মানু, যুবদল নেতা দুলাল, সাইফুল।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উত্তর জেলার সাবেক সদস্য আকরাম উদ্দীন পাভেল জানান, হঠাৎ করে এসে কমিউনিটি সেন্টারে ভাঙচুর চালায় মীর হেলালের অনুসারীরা। সেন্টারের সব গ্লাস ভেঙে ফেলে। তারা হলের ভেতরে গিয়ে বেশ কয়েকজন বয়োবৃদ্ধ নেতাকর্মীকে লাঠিসোঁটা, লোহা দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। এ ঘটনায় আমাদের ১১ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।

ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা বলেন, মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় দিনে দুপুরে হামলার মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীদের আহত করা চরম ধৃষ্টতা। কমিউনিটি সেন্টারের মূল সড়কে পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও তাদের নীরবতা জনমনে ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা নেতাকর্মীদের শান্ত করেছি, পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি। দলের নীতিনির্ধারকদের জানিয়েছি, আশা করছি তারা জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে খুদে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।

এমআর/এমএ