সেক্রেটারি জেনারেলের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে শিবিরের শোডাউন
শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের এই ভূখণ্ডের ইতিহাস বার বার লড়াই সংগ্রামের। এই ভূখণ্ডের ইতিহাস জীবন দেওয়ার। এই ভূখণ্ডের ইতিহাস স্বাধীনতা-মুক্তির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ তিতিক্ষার। বর্তমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের সামনে দুটি রাস্তা খোলা, হয় মাতৃভূমি রক্ষা করব, না হয় শহীদ হব।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবির আয়োজিত বিজয় র্যালি পরবর্তী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ৪৭-এ একবার আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিলাম। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকদের শোষণের কারণে আমরা সে স্বাদ বেশিদিন ভোগ করতে পারিনি। এরপর ১৯৭১-এ এই দেশের মানুষ জীবন দিয়ে আবারও স্বাধীনতা অর্জন করে। পরে শেখ মুজিব এদেশে বাকশাল কায়েম করে। এরই ধারাবাহিকতায় তার কন্যা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করে। এই ফ্যাসিবাদের অংশ হিসেবে তিনি বাংলাদেশের সূর্যসন্তান দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের হত্যা করেন। শুধু তাই নয়, এদেশকে নেতৃত্ব শূন্য করতে জামায়াত নেতাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করে। সবশেষে ২৪ এর জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে দেশপ্রেমী ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালায়।
প্রতিবেশী দেশ ভারতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তারা সীমান্তে আমাদের ভাই-বোনদের হত্যা করছে। বর্ষাকালে নদীর বাঁধগুলো খুলে দিয়ে এদেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করে। যদি এদেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র হয়, তাহলে ছাত্রশিবির রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা সম্পাদক ডা. উসামা রাইয়ান বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির ১৯৭৬ সাল থেকে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। যতই প্রতিকূলতা আসুক ছাত্রশিবির এই কাজ করে যাবে ইনশাআল্লাহ।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালে এদেশের ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক-সহ সর্বস্তরের জনতা যে উদ্দেশ্যে রক্ত দিয়েছিল স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও সেই উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি। যার প্রমাণ ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান।
বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর শাখা আয়োজিত র্যালিতে অংশ নিতে থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে নগরীর লালখান বাজার এলাকায় জড়ো হয়। পরে সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম উপস্থিত হলে র্যালিটি সেখান থেকে নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ২ নম্বর গেট এলাকায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মু. শহীদুল ইসলাম, মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি নাহিদুল ইসলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি তানজির হোসেন জুয়েল, মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ইব্রাহিম হোসেন রনি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইবরাহীম এবং ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
এমআর/জেডএস