সরকারের বড় বড় সংস্কারের সঙ্গে জনগণকে তাদের নাগরিক অধিকার নিয়ে বাঁচতে চাওয়ার প্রচেষ্টায় সঙ্গে থাকতে হবে বলে মনে করছে গণতন্ত্র মঞ্চ। জোটের নেতারা বলছেন, সারা দেশে হাটবাজার, পরিবহন ব্যবস্থা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এমনকি সরকারি সেবা প্রদানও প্রায় সবটুকু কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। মানুষের কাছে ৫ আগস্টে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের পতনের পর এমন কোনো পরিস্থিতি অপ্রত্যাশিত ছিল। সরকার তা বন্ধ করতে না পারলে বড় সংস্কারের পথে এগোতে জনগণকে তারা পাশে পাবে না।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের পরিচালনা পর্ষদ সভায় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা তুলে ধরে এসব কথা বলেন নেতারা।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, বর্তমান সময়ের চাঁদাবাজি, দখলদারি, অপরাপর রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমে বাধা প্রদানকারীদেরও আগামীতে ত্যাগ করবে জনগণ।

তারা বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চের রাজনীতি জনগণের পক্ষে থাকার, অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন দেশ গড়ার রাজনীতি।

এসময় সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি, দ্রব্যমূল্য ও অন্যান্য পরিপ্রেক্ষিতে জনগণের দুঃসহ অবস্থা প্রভৃতি বিষয়ে কথা বলেন নেতারা।

গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

এএইচআর/এসএসএইচ