শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শ্রমনীতি চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক এমপি মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, দেশের শ্রমিক সমাজ ও মেহনতি মানুষ আমাদের জাতীয় উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার। আমাদের দেশের প্রায় ৬০ ভাগ মানুষ শ্রমজীবী। তাই সমাজ-রাষ্ট্রে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন করতে হলে দেশের শ্রমজীবীদের যথাযথ মূল্যায়ন এবং তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। 

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর উত্তরায় নওয়াব হাবিবুল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

অর্জিত বিজয়কে অর্থবহ করতে শ্রমিক-জনতা বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার যুগপৎ আন্দোলন ও বিজয়ের মাধ্যমে আমরা দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তাই দেশকে ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার মুক্ত করে অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ ও ফলপ্রসূ করতে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র, অপশাসন-দুঃশাসনমুক্ত শ্রমিকবান্ধব ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। আমরা আর দুর্নীতি, হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, গুপ্তহত্যা ও চাঁদাবাজির যুগে ফেরত যেতে চাই না। এ জন্য আমাদের বীর সন্তানরা রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেয়নি।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের শ্রমজীবী মানুষ জাতীয় অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। তাদের হাড়ভাঙা শ্রমের মাধ্যমেই আমাদের রেমিট্যান্স আসে। পরিবহন ও কলকারখানা চলে। মূলত, অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলোই তাদের হাতেই পরিচালিত হয়। কিন্তু তারা এখনো তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। মূলত দেশে ইসলামী শ্রমনীতি চালু না থাকায় দেশের শ্রমিক সমাজ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত।

তিনি দেশে ইসলামী শ্রমনীতি চালুর জন্য শ্রমিক সমাজকে ইসলামের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, দেশের শ্রমিক সমাজই জাতীয় উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি। তারাই দেশ ও জাতীয় উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার। দেশ ও জাতির যেকোনো ক্রান্তিকালে শ্রমজীবী মানুষ ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু কোনো সরকারই দেশের শ্রমজীবী মানুষের যথাযথ মূল্যায়ন করেনি বরং তারা এখনো অবহেলিত ও অধিকার বঞ্চিত। তাই নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শ্রমজীবী মানুষকে এক প্লাটফরমে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

জেইউ/এমজে