বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, ভারত শেখ হাসিনার চোখ দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে, এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত ভারতের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক হবে না।

আজ (বৃহস্পতিবার) প্রেস ক্লাবের আয়োজিত আলোচনা সভা ও বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এসব কথা বলেন।

আলাল বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরের পরে অনেক মুক্তিযোদ্ধা তৈরি হয়েছে। যেমন ৫ আগস্ট এর পরে অনেক জাতীয়তাবাদীর সৈনিক তৈরি হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে ৭১ সালে অনেকেই মুক্তিযুদ্ধ না করেও রাজাকারদের সাথে ছবি তুলে পরবর্তীকালে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে নাম লিখিয়েছে। এই ইতিহাস বর্তমান প্রজন্ম বা পরবর্তী প্রজন্ম জানবে কি না আমার জানা নেই। 

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় (ভারত) আমাদের বন্ধু ছিল। কিন্তু এরা যে কখন বন্ধু, কখন শত্রু এটা বুঝতে হলে আমাদের আরও কয়েকশো বছর বাঁচতে হবে। তারা এখন শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। যাদের দিয়ে তাদের স্বার্থ হাসিল হয় তারা (ভারত) শুধু তাদেরকেই আশ্রয় দেয়। ভারত শেখ হাসিনার চোখ দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত ভারতের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক হবে না।

ভারতের উদ্দেশ্যে যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, শেখ হাসিনার চোখ দিয়ে বাংলাদেশকে দেখা ভুলে যান। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের আমলের কথা ভুলে যান। ওটা ভুলে যেতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্মকে চিনতে হবে। কারণ আগরতলা বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশনার অফিসে যে হামলা হয়েছে, তার পরে বাংলাদেশের ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে যেভাবে রাস্তায় নেমেছিল, তার একটাই কারণ এ দেশের মানুষ এই সার্বভৌমত্বকে ভালোবাসে। 

তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমাদের আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের সাথে আছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও আমাদের সাথে আছে। বাংলাদেশের সর্বভৌমত্বকে প্রমাণ করবো আমাদের ভুল, আমাদের কাজ, সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ হবে আমাদের মাপকাঠিতে। কোনো দাদাদের চোখ রাঙ্গানিতে আমরা ভয় পাই না।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।

ওএফএ/এনএফ