এম এ আউয়াল ও অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম

রাজধানীর পল্লবীর সাহিনুদ্দীন হত্যা মামলার আসামি ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম খানকে। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে আগামী তিন মাস দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।

শনিবার (২২ মে) সকালে রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় নূরুল ইসলামের বাসায় ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির প্রেসিডিয়াম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দলের প্রচার সম্পাদক মাহমুদ সালেহীন খান জানান, দলীয় চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল গ্রেফতার হওয়ায় আগামী তিন মাস দলের সব সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনের জন্য মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম খানকে অনুরোধ জানানো হয়। তিন মাস পর দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মাসুদ আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, মো. ওমর ফারুক, জগদীশ কর্মকার, মামুন পারভেজ, মাওলানা আনিসুর রহমান শেখ, মাওলানা শামসুল ইসলাম, মাওলানা আবু বকর সিদ্দীক, সুফিয়া বশীর, শারমীন আফাজ ও নাজমা ইসলাম।

এর আগে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির একাধিক সূত্র বলছে, দলের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এম এ আউয়ালের কারাবাসের সময়সীমার ওপর। কারণ দলের সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অর্থের মূল যোগানদাতা ছিলেন চেয়ারম্যান নিজেই। তার ইচ্ছায় একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ১৫টি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত ইসলামিক ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স ভেঙে দিয়ে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি গঠন করা হয়। এরপর থেকে দলের চেয়ারম্যানকে কেন্দ্র করেই কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এখন চেয়ারম্যানের কারাবাস দীর্ঘ হলে স্থবির হয়ে পড়বে দলের কার্যক্রম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির এক নেতা বলেন, আসলে আমাদের দল পরিচালনাই হতো চেয়ারম্যানকে কেন্দ্র করে। তিনিই দলের সব কর্মকাণ্ডে অর্থ ব্যয় করতেন। ফলে, তাকে বাদ দিলে তো দল অস্তিত্ব সংকটে পড়ে যাবে।

তিনি বলেন, দলের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, এ হত্যা মামলার সঙ্গে আউয়ালের জড়িত থাকার বিষয়টি সত্য নাকি মিথ্যা। নাকি কেউ তাকে ফাঁসাচ্ছে। যদি মনে হয়, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার, তবে তার মুক্তির দাবিতে দলের পক্ষ থেকে কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। আর যদি হত্যা মামলায় তার জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়, সেক্ষেত্রে হয়তো কিছুদিন পর দলই অস্তিত্ব হারাবে।

গত ১৬ মে রাজধানীর পল্লবীতে শিশুসন্তানের সামনে বাবা সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা বেগম পল্লবী থানায় ২০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আউয়ালকে। বর্তমানে তিনি চার দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।

এএইচআর/ওএফ