বিএনপির পক্ষ থেকে সংবিধান সংস্কার কমিশনে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তাতে আগামী নির্বাচন করতে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। 

বিএনপি নেতারা বলছেন, তারা নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার কথা বলেছেন। সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলটির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার কথা বলেছি। যাতে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়। এরপর যে নির্বাচনে হবে তার মাধ্যমে যেন জনগণের সত্যিকার প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে সংসদে যেতে পারে, আর কোনো ডামি প্রতিনিধি নয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি সংবিধান সংস্কার কমিশনে যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা খুব দ্রুতই বাস্তবায়ন সম্ভব। দ্রুতই নির্বাচন করাও সম্ভব। কারণ এখানে এমন কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি যা নতুন করে করতে হবে। 
আমরা নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার কথা বলেছি, তাদের জন্য আলাদা একটা সচিবালয় করার কথা বলেছি, তাদরকে আলাদা ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করেছি। কিছু আইনকে আর উন্নত করার প্রস্তাব আছে। কাজেই তার জন্য অধিক সময়ের প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, একটা নির্বাচনের মূল কাজ হচ্ছে ভোটার তালিকা তৈরি করা। আমাদের দেশে সেটা এমনিতে আপডেট হয়। আমাদের যে সিস্টেম আছে, তাতে এটা অটো হতে পারে, এটা দ্রুত সম্ভব।

নজরুল ইসলাম বলেন, একটা পত্রিকায় দেখলাম, ২০২৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ভোটার তালিকার ঘোষণা করা হবে। আর বাড়ি-বাড়ি গিয়ে এটা পুনঃবিবেচনা করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে। কিন্তু সাধারণ নিয়ম হচ্ছে ভোটার তালিকা ঘোষণার পর কারও নাম যুক্ত না হলে তারা স্থানীয় নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করবেন। অথবা এমন কারও নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যে আইন অনুযায়ী ভোটার হতে পারেন না। এগুলো করতে বেশি সময় লাগার কথা নয়।

সংবিধান সংস্কার কমিশনে বিএনপি যেসব প্রস্তাব দিয়েছে, তা মেনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে খুব বেশি বিলম্ব হওয়ার প্রয়োজন হবে না বলেও জানান তিনি।

দলটির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিএনপির পক্ষ থেকে যে সমস্ত সুচিন্তিত সংস্কার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সেখানে কিছু সংবিধান সংস্কারের বিষয় আছে। অধিকাংশ আইনি সংস্কারের বিষয়।   

এএইচআর/এমএসএ