অন্তর্বর্তী সরকার যখন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে হাঁটছে, তখন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে। এই অপচেষ্টা এবং ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আমরা আশা করি ভারত সব ষড়যন্ত্র ত্যাগ করে আমাদের বন্ধু হিসেবেই থাকবে।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি আয়োজিত আগরতলায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের ধর্মীয় উগ্রবাদীদের হামলা এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

ভারত সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে কাজ করবে এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের কাছে গণতন্ত্র শেখার কিছু নেই। সেখানে যখন মসজিদ ভাঙা হয়, সেগুলো তখন আলোচনায় আসে না। তারেক রহমান ১৮ বছর দেশে আসতে পারেনি। কিন্তু দেশের গণঅভ্যুত্থানের স্বপক্ষে কাজ করেছেন। 

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের প্রতিবেশী দেশ আমাদের দেশের উপর যেভাবে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে, সরকারকে নাজুক অবস্থায় ফেলার জন্য আমি তার তীব্র নিন্দা জানাই। 

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একটা সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ সৃষ্টিই হয়েছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য। যেই প্রতিবেশী রাষ্ট্র স্বাধীনতার সময় আমাদের সাহায্য করেছিল সেই প্রতিবেশী রাষ্ট্র এখন প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা এদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। ছাত্র-জনতা আগস্টে নিজের রক্ত ঢেলে দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত করেছে। তাই এখন দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা দেখা দিয়েছে। এই নতুন স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

কৃষকদলের সাবেক এই আহ্বায়ক বলেন, ভারতের কাছে গণতন্ত্র শেখার কিছু নেই। বাংলাদেশ কখনো কারো কাছে মাথানত করেনি। আর মাথানত করব না। এদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান যারা আছে সবাই আমাদের ভাই। এদেরকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে কোনো ঘটনা ঘটেনি, ঘটনা যা ঘটেছে সীমানার ওই পারেই ঘটেছে। আমরা আশা করি ভারত সব ষড়যন্ত্র ত্যাগ করে আমাদের বন্ধু হিসেবেই থাকবেন।

সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ইকরামূল খান সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) এর মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী প্রমুখ।

ওএফএ/জেডএস