জামায়াতের বিক্ষোভ-সমাবেশ
মগবাজার-হাতিরঝিলে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম
আগামী ১০ দিনের মধ্যে রাজধানীর মগবাজার ও হাতিরঝিল এলাকা থেকে চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি। অন্যথায় সচেতন ছাত্র-জনতা ঘরে বসে তামাশা দেখবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর মগবাজারে হাতিরঝিল থানা জামায়াত আয়োজিত সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলবাজমুক্ত থানা গড়ার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে এই হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার।
বিজ্ঞাপন
আতাউর রহমান বলেন, ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মুখে আওয়ামী-বাকশালীদের পতন হলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনো মগবাজারে সক্রিয় রয়েছে। তারা লাগামহীন সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, চাঁদাবাজি, দখলবাজি অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু পতিত স্বৈরাচারিদের এসব অপতৎপরতা জনগণ কোনো ভাবেই চলতে দেবে না। তিনি আগামী ১০ দিনের মধ্যে হাতিরঝিল এলাকায় সকল সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি বন্ধ করে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, অনেক ত্যাগ ও কোরবানির মাধ্যমে ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলেও আওয়ামী লীগের অপরাজনীতির কারণেই আমরা পুরোপুরি স্বাধীনতার সুফল অর্জন করতে পারেনি। তারা ২০০৮ সালে পাতানো ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় দেশ ও জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসেছে। তারা গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়ে দেশকে ফ্যাসীবাদী ও মাফিয়া তান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করে।
জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, ফ্যাসীবাদী সরকারের বিগত প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে দেশকে অপরাধ ও অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছিল। জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে একনায়কতান্ত্রিক বাকশালী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতার যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের পতন হয়েছে। তাই অর্জিত বিজয়কে অর্থবহ করতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
হাতিরঝিল পূর্ব থানা আমির অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং হাতিরঝিল পশ্চিম থানা আমির ইউসুফ আলী মোল্লার পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য নুরুল ইসলাম আকন্দ, রাশেদুল ইসলাম, জামায়াত নেতা গোলাম মাওলা, আকতার হোসেন, ড.আনোয়ারুল হক, ছাত্রশিবির নেতা ফজলুর রহমান, সাজ্জাদ শিহাব, নাদিম প্রমুখ।
টিআই/এমএসএ