সম্প্রতি চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডসহ দেশের নানাস্থানে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের ভূমিকার প্রতিবাদ জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারকে কোমলতা বা কঠোরতা নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ন্যায্য ও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এবি পার্টির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার ও সদস্যসচিব মজিবুর রহামান মঞ্জু সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতি এ প্রতিবাদ জানান তারা।

নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্রে শান্তি শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাগণ বার বার বলছেন তারা কারো প্রতি কঠোর হতে চান না। একইসঙ্গে তারা সংঘাত ও বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের জন্য পতিত ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্রের কথাও বলছেন। দেশের এরকম একটি নাজুক পরিস্থিতিতে স্পষ্টত: উসকানিমূলক তৎপরতার তথ্য পাওয়া সত্ত্বেও উদাসীনতা প্রদর্শন এবং যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়াটা খুবই দুঃখজনক।

তারা বলেন, সরকারের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোর আগাম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাবে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কোনোভাবেই কাম্য নয়। চট্টগ্রামে ইসকন সংশ্লিষ্ট বিক্ষোভকারীদের হামলা, আদালত ভাঙচুর ও একজন প্রতিভাবান আইনজীবীর নৃশংস হত্যাকাণ্ড দেশকে ভয়ানক দাঙ্গার দিকে ঠেলে দেওয়ার গভীর চক্রান্ত কি না তা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করতে হবে। ইসকনের ব্যাপারে যেসব অভিযোগ এসেছে তারও সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারত সরকার চিম্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুরে বিবৃতি দিলেও নৃশংসভাবে আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে তারা কোনো উদ্বেগ বা নিন্দা জানায়নি। বিষয়টি খুবই দৃষ্টিকটু। 

বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকা পরিবর্তনের উদাত্ত আহ্বান জানান তারা।

এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রামের ঘটনায় শত উসকানি সত্ত্বেও ছাত্র-জনতা, আলেম-ওলামা, সব ধর্মের ধর্মপ্রাণ মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলো যে সহনশীলতা এবং দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে তা আমাদের জাতীয় সংহতির আরও একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। 

তারা নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তার পরিবারবর্গের পুনর্বাসনের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে গ্রহণ করার অনুরোধ জানান।

জেইউ/এমএ