স্বৈরাচারের প্রতিভূদের বিচারে আশাবাদী কোনো অগ্রগতি নেই : সেলিম
আবু সাঈদ ও মুগ্ধের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি, বরং আওয়ামী-বাকশালীদের রাজনীতি থেকে চিরতরে বিদায় ও মাফিয়াতান্ত্রিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় এ আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের তিন মাস অতিক্রান্ত হলেও পতিত স্বৈরাচারের প্রতিভূদের বিচারের ক্ষেত্রে আশাবাদী হওয়ার মতো কোনো অগ্রগতি নেই, বরং তারা অর্জিত বিজয়কে নস্যাৎ ও বিতর্কিত করার জন্য নানাবিধ ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ভাটারার নতুন বাজার মাদানী অ্যাভিনিউয়ে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তরের ভাটারা থানা আয়োজিত এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
থানা আমির অ্যাডভোকেট রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আহমেদ সালমানের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, সহকারী সেক্রেটারি নাজিমুদ্দিন মোল্লা।
আরও পড়ুন
সেলিম উদ্দিন বলেন, তারা (আ.লীগ) কখনো আনসারের ছদ্মবেশে, কখনো সংখ্যালঘুর ছদ্মাবরণে; আবার কখনো পরীক্ষার অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিব্রত করার ষড়যন্ত্র করে ব্যর্থ হয়েছে। সবকিছুতে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন নতুন করে ভিন্ন আঙ্গিকে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তাই স্বৈরতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদীদের রাজনৈতিক দর্শনের দাফন নিশ্চিত করার জন্যই এদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাই এসব মানবতাবিরোধীদের অপরাধীদের বিচারের জন্য কোনোভাবেই কালক্ষেপণ করার সুযোগ নেই, বরং অনতিবিলম্বে তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মূল উদ্দেশ্যই ছিল দেশে সকল প্রকার বৈষম্যের অবসান। কিন্তু আগস্ট বিপ্লবের পরও দেশের সর্বক্ষেত্রে বৈষম্য বিরাজমান। মূলত মানবরচিত মতবাদের মাধ্যমে মানুষের কল্যাণ ও মুক্তি কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
মহানগর উত্তর আমির বলেন, জামায়াত একটি গণমুখী রাজনৈতিক সংগঠন। তাই প্রত্যেক ইসলামী আন্দোলনের কর্মীকে মানুষকে সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং ভালোবাসতে হবে। আমরা দেশকে এমন একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার ও মানবিক মর্যাদা সংরক্ষণ করা হবে।
সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম বলেন, স্বৈরাচারী-মাফিয়া তান্ত্রিকদের পতন হলেও ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি, বরং তারা ছাত্র-জনতার অর্জিত বিজয়কে নস্যাৎ ও বিতর্কিত করার জন্য নানা অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই, বরং যার যতটুকু সামর্থ্য আছে তা নিয়েই আমাদেরকে ময়দানে আপসহীন ভূমিকা পালন করতে হবে।
জেইউ/এসএসএইচ