বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা শুধু নিজের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব জিম্মি করে দিয়েছিলেন পার্শ্ববর্তী দেশের কাছে।

তিনি বলেন, এখন জনগণের একটাই দাবি, শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত যত চুক্তি করেছেন সেই চুক্তিগুলো অন্তর্বর্তী সরকার প্রকাশ করুক। তিনি দেশের কত বড় ক্ষতি করে গেছেন তার প্রমাণ তো আমরা দেখতে পাই।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীতে বিনামূল্যে চক্ষুসেবা ক্যাম্প উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘কয়েক দিন আগে তারা নূর হোসেন দিবসে ঢাকা শহর নাকি উথাল-পাতাল করে দেবে, ওইদিন আমাদের দলের নেতাকর্মীরা কয়েকটি মিছিল করেছে, ওদের মতো তো মোড়ে মোড়ে বন্দুক নিয়ে পাহারা দেয়নি, তারপরও তো ওদের কোথাও দেখা যায়নি। কই যুবলীগ? কই ছাত্রলীগ?’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা তাদের লুটপাটের জন্য তৈরি করেছিলেন। ফরিদপুরের ছাত্রলীগ নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছিলেন। শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের বলেছিলেন, তোরা যত পারোস লুটপাট কর, কিন্তু বিএনপিকে বের হতে দিবি না, বের হলেই হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়বি। এটাই ছিল শেখ হাসিনার নীতি। তার পরিণাম হয় ভয়াবহ, তা-ই হয়েছে। সঙ্গী-সাথী ফেলে দিয়ে স্বার্থপরের মতো পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা।’

রিজভী বলেন, ‘আদানি বলে ভারতের একটা কোম্পানি, তার সঙ্গে বিদ্যুতের চুক্তি করেছে, অত্যন্ত অসম চুক্তি, অত্যন্ত অন্যায় চুক্তি, এক ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ বাংলাদেশে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় তার কম, কিন্তু আদানির কাছ থেকে যেটা কেনা হয় সেটির এক ইউনিটের দাম ১২ টাকা। পৃথিবীর কোথাও এত দাম দিয়ে বিদ্যুৎ কেনা হয় না। তিনি আদানির সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন একটা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে, যদি কখনও পালাতে হয় তাহলে আদানি তাকে অর্থায়ন করবে। জনগণের কল্যাণের জন্য শেখ হাসিনা আদানির সঙ্গে কোনও চুক্তি করেননি। না হলে আদানি কেন হুমকি দেবে?’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংবাদিক মাসুদ কামাল, বিএনপির সহ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন বকুল, আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক, সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব মোকছেদুল মোমিন মিথুন প্রমুখ।

এএইচআর/এসএম