ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা করছে দখলদার ইসরায়েল আর বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ মায়ের কোলে শিশুদের হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

তিনি বলেছেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের পরিচালিত গণহত্যা, ফিলিস্তিনের জনগণের উপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার বহির্প্রকাশ। যদি ফিলিস্তিনের জনগণের উপর দখলদার ইসরায়েলের হামলার বিচার হতো তাহলে পৃথিবীর ইতিহাসে এমন বর্বরোচিত হামলার ঘটনা আর কেউ ঘটাতে সাহস পাবে না। 

রোববার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় আর্কাইভ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত তুফান আল আকসা'র বর্ষপূর্তি উদযাপন ও সংহতি সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, মসজিদুল আকসার মতো বায়তুল মোকাররমে মুসলমানদের নির্বিঘ্নে প্রবেশ করতে দেয়নি আওয়ামী লীগ। স্বাধীন দেশের একজন মুসলমান নাগরিক বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদে স্বাধীনভাবে নির্বিঘ্নে প্রবেশ করতে পারেনি, করতে দেওয়া হয়নি। বহু সাধারণ মানুষকে মসজিদে প্রবেশের সময় এবং মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় আটক করে নিয়ে জঙ্গি সাজিয়ে মামলা দিয়ে জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে। মানুষ ভয়ে মসজিদে আসতে পারেনি। মসজিদে মুসল্লির চেয়ে মসজিদের চারপাশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের সংখ্যা বেশি ছিল। যেমনিভাবে ইসরাইয়েল বাহিনী মসজিদুল আল আকসা ঘিরে রাখে।

তিনি আরো বলেন, ফিলিস্তিন বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অংশ নয়; ফিলিস্তিন আমাদের অস্তিত্ব। ফিলিস্তিনিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষা করা কঠিন। আগে ফিলিস্তিনের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। ফিলিস্তিনে আল আকসা ইসলামী বিশ্বের জাতিসংঘ হবে। ফিলিস্তিনের বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ইসলামের বিজয়ের পতাকা উড়বে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

ড. মাসুদ আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ে আওয়ামী লীগের উল্লাসের প্রসঙ্গে বলেন, আমেরিকা কাউকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেয় না, দেবে না। জনগণের ইচ্ছায় সরকার গঠন হয়। আবার জনগণই ফ্যাসিবাদ কায়েমকারীদের ক্ষমতাচ্যুত করে। 

তিনি গুলিস্থানের জিরো পয়েন্ট দখল দিতে শেখ হাসিনার নির্দেশ পালন করতে আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে বলেন, বিদেশে বসে কর্মীদের লেলিয়ে না দিয়ে সৎ সাহস থাকলে রাজনীতির মাঠে এসে নেতৃত্ব দিন।

সংহতি সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সদস্য কবি আবদুল হাই শিকদার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ এবং বিশিষ্ট লেখক গবেষক ও আলেম মাওলানা সাইমুম সাদী।

অন্যান্যের মধ্যে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পাটি) সহকারী সদস্য সচিব ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশর কেন্দ্রীয় গবেষণা সম্পাদক শেখ ফজলুল করিম মারুফ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল বশর আজিজী এবং ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ রায়হান আলী।

জেইউ/জেডএস