দেশ নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র হলে বিষদাঁত উপড়ে ফেলা হবে : পীর চরমোনাই
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই বলেছেন, দেশে নতুন করে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করলে তা প্রতিরোধ করা হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলা হবে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত উন্নতি-অগ্রগতি ও মানবিক বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় রাসুল (সা.) এর সিরাত শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, ফ্যাসিবাদ মাফিয়াতন্ত্র মুক্ত দেশ গঠনে রাসুলের সিরাত অনুসরণ অপরিহার্য। রাসুল (সা.) এর সিরাত থেকে দূরে থাকার ফলে ফ্যাসিবাদ, বৈষম্য, বে-ইনসাফ ও কায়েমি স্বার্থবাদগোষ্ঠী আমাদের ওপর চেপে বসেছে। কিছু বুদ্ধিজীবী আজ দেশকে নতুনভাবে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি রাসুল সা. যে নীতি আদর্শ নিয়ে আসছে সেই নীতির অনুসরণ ছাড়া সাম্য মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় উল্লেখ করে বলেন, ৫ আগস্টের আগে দেশে যা ঘটানো হয়েছে তা মনুষ্য সমাজে ঘটতে পারে না। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা জীবনবাজি রেখে অন্য ধর্মাবলম্বীদের জানমাল রক্ষায় কাজ করেছে। আর এটাই ইসলামের শিক্ষা।
আরও পড়ুন
সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, আমাদের দেশ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নিরাপদে আছেন এবং নিরাপত্তার সঙ্গে আছেন। আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘু ইস্যুকে ট্রামকার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতায় নাগালে রাখুন। সিন্ডিকেট ভেঙে দিন। কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী সার ও বীজ সরবরাহ বৃদ্ধি এবং সারের দাম কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির আরও বলেন, আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করলে তা আবারো ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করা হবে। ৫ আগস্টের আগে যারা দেশে গণহত্যা করেছে, অনেক মায়ের বুক খালি করেছে, হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু করেছে তারা মনে করছে আমরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছি। কিন্তু আমরা ঘুমন্ত নই। আমাদের চোখ কান খোলা রয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলা হবে।
দলের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, নামাজ রোজার পাশাপাশি সকল প্রকার চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ ও জাতীয় লুটেরাদের বিরুদ্ধে মাঠে ময়দানে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ বলেন, সমাজের উন্নতি-অগ্রগতির জন্য রাসুল সা.-এর নির্দেশনা রয়েছে। সেই সঙ্গে উন্নতি-অগ্রগতির ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। আমরা যে দেশে বসবাস করছি সে দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আজ বৈষম্য চলছে। চলছে নির্যাতন-নিপীড়ন। সমাজ রাষ্ট্রে রাসুল সা.-এর সিরাত বাস্তবায়ন করতে পারলেই সমাজ থেকে বৈষম্য দূর হবে, জুলুম নির্যাতন দূর হবে, মানবতা মুক্তি পাবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে এতে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ, মাওলানা লিয়াকত আলী, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা মুহাম্মাদ যাইনুল আবিদীন, মুফতি ওয়ালিউর রহমান।
জেইউ/এসএসএইচ