ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর চরমোনাই) বলেছেন, বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় রাসুলের (সা.) জীবনাদর্শ প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। সারা পৃথিবীর সব জীবনাদর্শ অ্যানালাইসিস করেও এর কোনো বিকল্প আজও আবিষ্কার করতে পারেনি।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি অডিটোরিয়ামে জাতীয় সিরাত সম্মেলনে-২৪ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনূছ আহমাদ।

সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, সারা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ জনসমর্থন নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেন এত ধীরগতি। আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, উগ্রবাদী সংগঠন ইসকনের আস্ফালন থামাতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। উগ্রবাদী-সন্ত্রাসবাদী সব সংগঠন ও গোষ্ঠীর মূলোৎপাটন করে এই জাতিকে জঙ্গি জঙ্গি খেলা থেকে মুক্তি দিতে হবে।

তিনি বলেন, পৃথিবীর সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান তিনি প্রণয়ন করেছেন। আজ বাংলাদেশেও নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য বিভাগে সংস্কার করতে হলে রাসুলুল্লাহ (সা.) এর জীবন আদর্শে ফিরে যেতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মৌলিক ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। এই কমিশনগুলোতে যথোপযুক্ত জনবল নিয়োগ দিতে হবে। যৌথ অভিযানের নামে চুনোপুঁটিদের ধরলে কাজ হবে না, রাঘব বোয়ালদেরও ধরতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনূছ আহমাদ বলেন, আমরা বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের যেই স্বপ্ন দেখছি রাসুল (সা.) এর জীবন আদর্শ বাস্তবায়ন ছাড়া এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই ভূখণ্ডকে কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সব বৈষম্য দূর করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, বাংলাদেশের যে পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, সেই টাকা যদি রাসুল (সা.) দেখানো অর্থ ব্যবস্থায় বৈষম্যহীনভাবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা হতো, তাহলে একজন ভিক্ষুকও খুঁজে পাওয়া যেত না।

এমএম/এসএসএইচ