বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপি আয়োজিত শোভাযাত্রা শেষ হয়েছে। লাখো নেতাকর্মীর ব্যাপক শোডাউনের মাধ্যমে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে শোভাযাত্রার সমাপ্তি ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে কেন্দ্র করে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করে আসছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) কর্মদিবস থাকায় শুক্রবার (৮ নভেম্বর) শোভাযাত্রা পালনের ঘোষণা দেয় বিএনপি।

শোভাযাত্রা উপলক্ষ্যে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী ট্রাকে স্থাপিত মঞ্চে সভাপতিত্ব করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন।

তারেক রহমান বলেন, আজ রাজপথের সমাবেশ, মিছিল কারও বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় তোলার জন্য নয়, আজকের মিছিল দেশের স্বার্থ রক্ষার মিছিল।

বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমি একটি বিষয়ে স্মরণ করিয়ে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানাতে চাই, আমি নিজেও সতর্ক থাকতে চাই— সেটি হলো গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনো কিন্তু থেমে নেই। অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা দেশে-বিদেশে, প্রশাসনে এখনো সক্রিয়।’

সমাপনী বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বিপুল অংশগ্রহণের জন্য নেতাকর্মী ও আগতদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, ঢাকার আটটি জেলার নেতাকর্মী ও আপামর জনসাধারণ, আপনাদের বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপির পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজ জাতির স্বাধীনতা রক্ষার জন্য নতুন করে শপথ নিলেন, আজ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে শপথ নিলেন।’

সব দলের প্রতি ফখরুল বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাই, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

মির্জা ফখরুল ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘অতি দ্রুত সংস্কার করে অবাধ নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সংসদ ও জনগণের সরকার গঠন করতে পারব।’

এসময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এ ছাড়া শোভাযাত্রায় অংশ নেয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাউদ্দিন আহমেদ, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।

এএইচআর/এসএসএইচ