ইসকনের ধৃষ্টতা ও আয়ের উৎস খুঁজে বের করতে হবে। ইসকনের ধৃষ্টতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিদেশি কোনো শক্তির ক্রীড়নক হিসেবে তারা ষড়যন্ত্র করছে কি না তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ।

বুধবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসকনের বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এক ব্যক্তি অবরুদ্ধ ও দোকানপাট ভাঙচুর করলে সেনা সদস্য ও পুলিশ বাহিনী উদ্ধার করতে গেলে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা হয়। যাতে সেনা সদস্য, পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন আহত হয়।

ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন মহাসচিব বলেন, দেশের সব ধর্মের নাগরিককে দেশের আইন মেনে চলতে হবে। কোনো অবস্থাতেই আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি। তাই ইসকনের ধৃষ্টতা ও আয়ের উৎস খুঁজে বের করতে হবে। এরা বিদেশি কোনো শক্তির ক্রীড়নক হিসেবে ষড়যন্ত্র করছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের পরে পতিত স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা বিভিন্নভাবে সক্রিয় রয়েছে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে সূদুর প্রসারী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে মাওলানা ইউনুছ আহমদ বলেন, আপনাদের আরও সতর্ক ও ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ নিতে হবে। অভ্যুত্থানের স্টেকহোল্ডারদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করলে চরম মাশুল দিতে হবে। অভ্যুত্থানের তিন মাসের মাথায় এখনো প্রশাসনে পতিত সরকারের দোসরদের অবস্থান সচেতন দেশবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে।

তিনি আরও বলেন, সমৃদ্ধ কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সমৃদ্ধ কল্যাণরাষ্ট্র গঠন করতে হলে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা নূরুল করীম আকরাম।

জেইউ/এসএসএইচ