আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার মতো ১৯৭১ সালে তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করে মহিলা দল।

৭ নভেম্বর বিপ্লবের নায়ক সাধারণ সিপাহী ও জনতা মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৭ নভেম্বর বিপ্লব নতুন করে বাংলাদেশকে বিনির্মাণের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। সেদিন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সামনে না এলে বাংলাদেশ কী হতো? এ কথা বলা যায় না। হয়ত এ দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতো।

জিয়াউর রহমান নেতৃত্ব দিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে একটা আশার আলো তৈরি করেছিলেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। গণমাধ্যমকে মুক্ত করে দেন। গার্মেন্টস শিল্প ও বিদেশে কর্মী পাঠিয়ে রেমিট্যান্স আনার যে প্রবণতা— এর সূচনা করেছিলেন তিনি। খাল কাটা কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষিতে বিপ্লব এনেছিলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছর ধরে জনগণের ওপর নির্মম নির্যাতন করেছিল। এরা দেশের অর্থনীতিকে ফোকলা করে দিয়েছে। আমাদের ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। ইলিয়াস আলীসহ ৬০০-এর বেশি নেতাকর্মী গুম করেছে। জুলাই-আগস্টে আমাদের ছাত্রজনতা, শিশুদের গুলি করে হত্যা করেছে। অবশেষে ছাত্রজনতার দৃঢ়তার আন্দোলনের মধ্যদিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে সরাতে পেরেছি, তার জন্য শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।

তিনি বলেন, হাসিনা পালিয়ে গেছে এটা একটি সত্য কথা। শেখ মুজিবও পালিয়ে গিয়েছিলেন ১৯৭১ সালে। তিনি দেশে থাকেন নাই। পাকিস্তান চলে গিয়েছিলেন। গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি ঘরে বসেছিলেন গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য। এটা আমার কথা না। তাজউদ্দীন আহমেদের মেয়ের বইয়ের মধ্যে লেখা আছে।

নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বুকে চেপে থাকা দানব সরে গেছে। কিন্তু আমাদের সজাগ ও সচেতন হতে হবে। বহু চেষ্টা করে কেউ বিএনপিকে ভাঙতে পারেনি। বিএনপির সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে নারীরা।

মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন— বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহাম্মেদ।

এএইচআর/এমজে