৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতনের পর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় ঊর্ধ্বগতিতে দেশের জনগণ স্বস্তিতে নেই। দ্রুত বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে অস্বস্তিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া এসব কথা বলেন৷

তারা বলেন, পতিত লুটেরা সরকারের দোসর ও তাদের সহযোগীরা আন্দোলনকারী বৃহৎ শক্তির কাঁধে ভর করে এখনও বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। অবিলম্বে সব সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। বাজারসহ সব সিন্ডিকেট সমূলে উপড়ে ফেলতে হবে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে প্রশাসনকে আরও কার্যকর করতে হবে।

ন্যাপ নেতারা বলেন, লুটেরা গোষ্ঠী যেসব রাঘববোয়ালেরা দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে তাদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করে সব অর্থ উদ্ধার করতে হবে এবং সর্বোচ্চ সাজার ব্যবস্থা করতে হবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে ক্ষুধার্ত পেটে যেমন উন্নয়ন যেমন জনগণকে স্পর্শ করতে পারে নাই, ঠিক তেমনই জনগণ ক্ষুধার্ত পেটে রাষ্ট্র সংস্কার জিকির শুনতে চায় না। তারা রাষ্ট্রের সকল স্তরে দ্রুততম সময়ে সংস্কার চায়। এমন সংস্কার যেখানে বাজার সিন্ডিকেটসহ সব প্রকার সিন্ডিকেটের অবসান হবে। নতুন করে কোনো ফ্যাসীবাদী ও লুটেরা শক্তির জন্ম হবে না।

নেতৃদ্বয় আরও বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সরকার জন আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য আকাশছোঁয়া, মানুষের নাভিশ্বাস ওঠা শুরু হয়েছে। সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য ভাঙতে পারছে না। সরকার যদি এই বাধা ভাঙতে না পারে রাষ্ট্র নতুন সংকটে পড়বে। দেশ ও জনগণ যাতে নতুন কোন সংকটে না পরে সে কারণে সরকারকে যে কোন মূল্যে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। সরকারের সাথে সংশ্লিষ্টদের রাস্তায় হাঁটতে হবে, সাধারণ মানুষের কথা শুনতে হবে। সরকারের সাথে সংশ্লিষ্টরা মানুষের কথা শুনতে চান না। বর্তমান সরকারের সাথে সংশ্লিষ্টরাও কি তাই ?’

তারা বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি ঘিরে যে সংকট, তা অনাকাঙ্ক্ষিত ও উদ্বেগজনক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন কি না, এটা আলোচনার বিষয়ই নয়। এখনকার মূল অ্যাজেন্ডা হওয়া প্রয়োজন রাজনীতি, রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কার এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত করা।’

এমএম/এমএ