জনগণ ক্ষুধার্ত পেটে রাষ্ট্র সংস্কারের গল্প শুনতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।

রোববার (২৭ আগস্ট) বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘স্বস্তির হাট’ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

রাশেদ খান বলেন, সরকার জন আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারছে না। দ্রব্যমূল্য আকাশছোঁয়া, মানুষের নাভিশ্বাস ওঠা শুরু হয়েছে। সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য ভাঙতে না পারলে সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না। ইতোমধ্যে সরকারের সমালোচনা ব্যাপক মাত্রা ধারণ করেছে। এখন পর্যন্ত শহীদের সঠিক তালিকা তৈরি হয়নি, শহীদ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। এখনও মানুষ হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। কেন গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া হলো না? জনগণ কিন্তু ক্ষুধার্ত পেটে রাষ্ট্র সংস্কারের গল্প শুনতে চায় না।

তিনি আরও বলেন, আপনারা এখন রাষ্ট্রপতিকে সরাতে চান। কিন্তু সেটা তো শপথ নেওয়ার আগে দরকার ছিল। এখন রাষ্ট্রপতিকে সরতে হলে আপনারাও তো অবৈধ হয়ে যাবেন। কারণ যার হাতে শপথ নিয়েছেন, সে না থাকতে পারলে আপনারা কীভাবে থাকবেন? তখনই বলেছিলাম জাতীয় সরকার গঠন না করলে টিকতে পারবেন না। কথা শোনেন নাই। এখন কেন আপনাদের কথা দলগুলো শুনবে? আপনারা বিপ্লবী চেতনা ধারণ করেন না। করলে তো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন না করে বিপ্লবী সরকার গঠন করতেন। এখন আধা সংবিধান, আধা বিপ্লবী চেতনায় সরকার চলছে।

পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিম, গণঅধিকার পরিষদের নেতা ইলিয়াস মিয়া, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ প্রমুখ।

ওএফএ/এসএসএইচ