রাষ্ট্রপতি থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেছেন, রাষ্ট্রপতি দ্বিমুখী বক্তব্য জাতির সঙ্গে শঠতার শামিল। গণঅভ্যুত্থানে গঠিত নতুন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে পুরানা পল্টনে অবস্থিত আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি তার বক্তব্যে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করায় প্রধান বিচারপতির মতামতের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হলো এবং তিনি উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদেরকে শপথ বাক্য পাঠ করান। প্রায় আড়াই মাস ধরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নেই এমন মন্তব্য জাতির সঙ্গে শঠতার শামিল এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি অসত্য বলেছেন এবং গোপনীয়তার শপথ ভঙ্গ করেছেন।
গণঅভ্যুত্থানে গঠিত নতুন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে থাকার তিনি নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরের ভূমিকায় অবতীর্ণ ও দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠতে পারেননি। তাই অনতিবিলম্বে তার পদত্যাগ করা প্রয়োজন।
অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, পতিত সরকারের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় সংগঠিত হয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন প্রশাসনে বসে তারা দেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত। বিভিন্ন বাজার সিন্ডিকেটে জড়িত থেকে বাজারে বিশৃঙ্খলা করে উত্তপ্ত করছে।
তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের সঙ্গে পুরো দেশের ১৮ কোটি মানুষের ম্যান্ডেট রয়েছে। আপনারা দুর্বল নন। আপনারা আরও কঠোর হউন। ফ্যাসিবাদ নির্মূলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে রাখুন। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করুন। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিন।
এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলা, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, হারুন অর রশিদ, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান।
জেইউ/জেডএস