গণঅভ্যুত্থানের মুখে পতিত সরকারের পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা না করার প্রশ্নটাই অবান্তর বলে মনে করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তারা বলেছেন, এটা নিয়ে রাষ্ট্রপতির পানি ঘোলা করার কোনো সুযোগ নেই।

সোমবার (২১ অক্টোবর) পুরানা পল্টন মোড়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে মঞ্চের নেতারা এ মন্তব্য করেন।

মুনাফাখোর বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারকে আহ্বান জানিয়ে সমাবেশে নেতারা বলেন, গণহত্যায় অভিযুক্ত ও লুটপাটের সব হোতাদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে।

সরকারকে অনতিবিলম্বে বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমিয়ে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে আহ্বান জানান মঞ্চের নেতারা।  

‘জেড আই খান পান্নাকে আসামি করায় ক্ষোভ’

সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজ্ঞ জেড আই খান পান্নাকে হত্যা মামলার আসামি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

সমাবেশে নেতারা বলেন, ক্ষমতা গ্রহণের আড়াই মাস পর মানুষ এখন সরকারের সাফল্য দেখতে চায়। প্রয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারকেও পুনর্গঠন করুন। এখন সরকারের কোনো অজুহাত মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।

মঞ্চের নেতারা বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতেও এ ধরনের হয়রানিমূলক মামলা চলতে থাকলে প্রকৃত আসামিরা পাত পেয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরির হবে এবং মামলার মেরিট কমে যাবে।

গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতা বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খানের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থবিষয়ক সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া।

এএইচআর/জেডএস