অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ একটা অভিশপ্ত দল। আওয়ামী লীগ হাজার হাজার মানুষকে খুন করেছে। ৩০ হাজার মানুষকে আহত করেছে। তাহলে আপনারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করবেন না তো কাকে নিষিদ্ধ করবেন? আর কয়টা লাশ পড়লে আপনারা তাদের নিষিদ্ধ করবেন। জাতীয় পার্টিও দালাল। আরও কিছু দালাল আছে যারা গাড়ি বাড়ির জন্য নির্বাচনে গিয়েছে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে প্রফেসর কে আলী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ : বিপ্লব পরবর্তী জাতীয় ঐক্য ও সংহতি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে কর্নেল অলি বলেন, আল্লাহ ছাড় দেয় কিন্তু ছেড়ে দেয় না। আপনারা অনেক সুযোগ পেয়েছেন। দুই থেকে আড়াই মাস চলছে কিন্তু আপনারা এখনও দৃশ্যমান কোনো কিছুই দেখাতে পারেননি। লোটা বাহিনী এখনও হাসিনার কাজ করে যাচ্ছে। বিএনপি এবং জামায়াতের উচিত সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে দেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য কাজ করা। জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে এবং দেশের সম্পদকে রক্ষা করতে হবে।

তিনি বলেন, হাসিনার লোটা বাহিনী এখনও আছে। এ সরকারের উচিত ছিল সর্বপ্রথম এদের চাকরিচ্যুত করা। তদন্তের ভিত্তিতে তাদের জেলে পাঠাতে হবে। কিন্তু আমাদের উপদেষ্টারা তাদের সঙ্গে কাজ করছে।

এলডিপি প্রেসিডেন্ট বলেন, ভারত এক মিনিটের জন্যেও বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে না। এর কারণ হলো বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে উর্বর। আবার অন্যদিকে আমাদের শত্রুরাও চায় না বাংলাদেশের সবাই একত্রে থাকুক।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা প্রতিটি মুহূর্তে বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। এটা নিয়ে আমাদের হেলাফেলা করলে চলবে না। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তাহলে এ বিপ্লবের ফল ভোগ করতে পারবে। যদি বিপ্লব ব্যর্থ হয় তাহলে দেশ আবারও ভারতে পরিণত হয়ে যাবে।

বক্তারা আরও বলেন, দেশের সাধারণ মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। সরকারের উচিত সর্বপ্রথম নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানো। মানুষ এখন চাল, ডাল, তরকারি থেকে শুরু করে সবকিছু কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন।

প্রফেসর ড. শেখ আকরাম আলীর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দে মেজর (অব.) ইমরান হোসেন, মেজর (অব.) মো. মাসুদ, কর্নেল (অব.) মো. আইয়ুব, বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

ওএফএ/এসএসএইচ