ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে নিহতদের পরিবার থেকে দুজনকে উপদেষ্টা করার দাবি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, শহীদের পরিবার থেকে দুজনকে উপদেষ্টা নিয়োগ দিতে হবে। যাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, তাদেরই মূল্যায়ন করতে হবে।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দনিয়া কলেজ প্রাঙ্গণে গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লবে হতাহতদের জন্য দোয়া, স্মৃতিচারণ ও গণসমাবেশে এ দাবি জানান তিনি।

নুরুল হক নুর বলেন, ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনে যাত্রাবাড়ীর মানুষ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। এখানে কোনো নেতা ছিল না, সাধারণ মানুষই এখানে নেতৃত্ব দিয়েছে। যাত্রাবাড়ীর মানুষ বুলেটের সামনে যেভাবে প্রতিবাদ করেছে, তা এই আন্দোলনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। এই শহীদদের পরিবারকে মূল্যায়ন করতে হবে। আমরা শুনেছি, নতুন করে উপদেষ্টা নিয়োগ করা হবে। আমাদের দাবি, শহীদের পরিবার থেকে দুজনকে উপদেষ্টা নিয়োগ দিতে হবে। যাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, তাদেরই মূল্যায়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, শহীদ পরিবারের খোঁজ না নিয়ে কেউ কেউ সচিবালয়ে নিয়োগ নিয়ে ব্যস্ত, নতুন দল গঠন নিয়ে ব্যস্ত। এই শহীদদের ত্যাগকে পুঁজি করে কাউকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে দেখেছি, এই সরকারের কেউ কেউ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ নেতাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার নির্দেশদাতা শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি দিতে হবে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে দেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া যাবে না।

দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাস্টারপ্লেস এই যাত্রাবাড়ী। এখানে যারা আন্দোলন করেছে, এরা প্রত্যেকে এক একজন মাস্টারমাইন্ড। এখানকার হিরোরা আন্দোলন না করলে গণঅভ্যুত্থান হতো না। আমাদের শহীদদের মায়েরা অভিযোগ করছেন, হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। তারা গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনার ফাঁসি চায়। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি শেখ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ নিবে? এই সরকার যদি গণহত্যার বিচার এবং শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরদের ফিরিয়ে না আনে, তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর জনগণের আস্থা নষ্ট হবে। আমরা সরকারকে বলবো, শহীদ পরিবারকে সম্মানিত করুন। তাদের ত্যাগের কারণেই আজকে আপনারা সরকারে।

মহানগর দক্ষিণ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিলের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক হাসান আল মামুন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ।

পিএইচ