ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে স্বীকৃতি ও মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্ত এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে মনে করে না বলে বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দলটির দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে স্বীকৃতি ও মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্ত এবং একজন উপদেষ্টা ‘সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসাবে মনে করে না’ বলে প্রদত্ত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই সিদ্ধান্ত ও একজন উপদেষ্টার এই বক্তব্য প্রধান উপদেষ্টার ‘রিসেট বাটন পুশ করায় অতীত মুছে গেছে’ সম্বলিত বিতর্কিত বক্তব্যকেই সত্য বলে প্রমাণ করল।

জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির এ বিবৃতিতে সুস্পষ্টভাবে বলছে যে, ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল ঘটনাই নয়, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যের স্মারক ও অংশ। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার ঘটনা শুধু বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি কালো অধ্যায়ই নয়, আধুনিক বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসেও একটি কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সংবিধান প্রণয়ন করে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর সংবিধান কার্যকর করার ঘটনাও বিশ্বের স্বাধীন দেশগুলির সংবিধান রচনা ও কার্যকর করার ইতিহাসেও একটি অনন্য গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা।

এতে আরও বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির অবিসম্বাদিত নেতা, জাতির পিতা হিসাবে স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্যেই সমগ্র জনগণ ও জাতির দ্বারা স্বীকৃত হয়েছেন এবং সমগ্র বিশ্বও বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি ও প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে স্বীকৃতি ও মর্যাদা দিয়েছে। জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ এ দেশের জনগণের ঐতিহাসিক গণ-আন্দোলনের অর্জিত এবং মীমাংসিত বিষয়সমূহ অমীমাংসিত করার কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বক্তব্য প্রদান না করা এবং এসব বিষয়ে বিতর্কে জড়ানো থেকে সযত্নে দূরে থাকা, সতর্ক থাকার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

এমএসআই/এমএ