দিবস বাতিলের প্রতিবাদ উদীচী-সিপিবির
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এবং ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস বাতিলের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। তারা বলেছে, এসব জাতীয় দিবস বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এসব দিবস কোনোভাবেই কোনো দল বা পরিবারের ব্যক্তিগত দিবস নয়, বরং পুরো জাতির দিবস।
এসব দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান উদীচীর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
বিজ্ঞাপন
এক বিবৃতিতে উদীচী বলছে— উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় সারা জাতির পক্ষ থেকে সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে যে ভাষণ দেন, মূলত সেই ভাষণেই উদ্বুদ্ধ হয়ে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা পায় জাতি। এ ছাড়া ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার নৃশংসভাবে হত্যার মতো ঘটনা শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর ইতিহাসেই বিরল। ওই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে আবারও পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। আর ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস বাতিলও অবিবেচনাপ্রসূত। ১৯৭২ সালের এই দিনই গণপরিষদে সংবিধান গৃহীত হয়, যেখানে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত রাষ্ট্র পরিচালনার চার মূলনীতি সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
এই তিনটি দিবস স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে উল্লেখ করে উদীচী বলে, এসব দিবস বাতিল করলে তা প্রকারান্তরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার অপচেষ্টা বলে মনে হতে পারে।
আরও পড়ুন
অন্যদিকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এক বিবৃতিতে ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস এবং ঐতিহাসিক ৭ মার্চের জাতীয় দিবস বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ অনেক সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও মতামত ছাড়া নিচ্ছে। অনেকে মুক্তিযুদ্ধ ও অন্য বিষয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দিচ্ছেন, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এনএফ