শেখ হাসিনার সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়া ৮০৩ জন পুলিশের উপ-পরিদর্শককে (এসআই) বিভিন্ন থানায় পোস্টিং দেওয়া খবর পাওয়া যাচ্ছে। এসব পুলিশ কর্মকর্তার কেউ নিরপেক্ষ নন। তারা সবাই হাসিনার ক্যাডার। তাদের মধ্যে ‍দুইশ পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছে, যাদের বাড়ি গোপালগঞ্জে।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরায় ডেঙ্গু মোকাবেলায় জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এসব পুলিশ কর্মকর্তাদের ব্যাপারে তদন্ত করতে হবে। আরও অনেক ঘটনা আছে, যা এখন বলতে চাচ্ছি না।

প্রশাসনে এখনো অনেক ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছে বলে মন্তব্য করেন রিজভী। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থান সফলে ছাত্র-জনতা গুলির সামনে বুক পেতে দিয়ে শহীদ হয়েছেন। আন্দোলন চলাকালে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ভিডিও দেখিয়ে তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছিল, ‘স্যার একজন মরে, আরও দুইজন দাঁড়িয়ে যায়।’ এই ধরনের কর্মকর্তাদের পুলিশে বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব দেওয়া হলে তা ছাত্রজনতার রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, যে পুলিশ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে শহীদ করেছে, সেই সব পুলিশ কীভাবে এখনো প্রশাসনে বহাল আছে? গোপালগঞ্জের মতো জেলার বাসিন্দা পুলিশের দুইশ এসআই কীভাবে এখনো হাসিনার ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করছে? এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন দিয়ে শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতা এবং রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালিয়ে, গুম-খুন করে বাংলাদেশকে গণকবরে পরিণত করেছে।

সাবেক এই ছাত্র নেতা বলেন, প্রশাসনের এসব ব্যক্তিদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তা ছাড়া শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে না।

ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে দেশের মানুষের চাহিদা অনেক বেশি উল্লেখ করে রিজভী বলেন, এই সরকারের আমলে মহামারিতে একজন লোকও যেন বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক পারভেজ রেজা কাকন, উত্তরের মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল প্রমুখ।

এএইচআর/এমএ