‘গুম-খুনের হোতা জিয়াউল আহসান কারাগারে আরাম-আয়েশে রয়েছেন’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত সাবেক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান জেলখানায় খুব আরামে আছেন। তাকে কোনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। তার কাছ থেকে একটি শব্দ বের হয় না। তাহলে কি দেশে গুম-খুন হয়নি?’
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) গুলশানে গুম-খুন কমিশনে নিজের গুম হওয়ার বিষয়টি অফিসিয়ালি জানাতে যান সালাহউদ্দিন আহমেদ। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সবচাইতে গুম-খুনের অভিযোগ তো জেনারেল জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে আছে। বেনজীর আহমেদসহ আরও যারা গুম-খুনের হোতা ও নায়ক রয়েছে... তারা নির্দেশ পেয়েছিল সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা ও তার সচিব তারেক সিদ্দিকীসহ যাদের কাছ থেকে, সবাইকে খুঁজে বের করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশ থেকে গুম-খুনের সংস্কৃতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে, এটা জাতির দাবি, বিপ্লবের শহীদদের দাবি।’
গুম-খুনের সঙ্গে জড়িতদের আশ্রয় দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। বিষয়টি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এটা সরকারের দায়িত্ব, তাদের নিয়ে আসা। কীভাবে আনবে সেটি আইনে আছে।’
নিজের গুম হওয়ার বিষয়ে অফিসিয়ালি লিপিবদ্ধ করতে গুম কমিশনে এসেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আগেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকে গুম কমিশনে এসেছি। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তরার একটি বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সশস্ত্র ব্যক্তিরা আমাকে তুলে নিয়ে যায়। তার ৬১ দিনের মাথায় আরেকটি দেশে প্রচার করে তারা। এ সময়ের মধ্যে আমাকে যে রুমে রেখেছিল, সেই রুমের বর্ণনাসহ নানা বিষয় আমি গুম কমিশনের কাছে বলেছি।’
গুম কমিশন কী বলেছে? এ প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তারা তাদের নিয়মাবলির ও এখতিয়ারের মধ্যে থেকে এই জায়গাগুলো খুঁজে বের করবে। এরপর বিস্তারিত তদন্ত করবে।’
নিজের গুমের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ আদালত ট্রাইব্যুনাল গঠন হয়েছে, সেখানে মামলা করব।’
এএইচআর/কেএ