নির্বাচনে ৫০ শতাংশ ভোট না পড়লে পুনরায় ভোট করতে হবে বলে মত দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

তিনি বলেছেন, ২০১৪ সালে চুইংগামের মত কাস্টিং বাড়িয়ে ভোট দেখানো হয়েছে ৪০ শতাংশ। সংসদ সদস্যদের বেতন বাড়াতে হবে। দশ লাখ টাকা বেতন দিতে হবে।

শনিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশনে কেমন সংস্কার চাই শিরোনামে সেমিনারের আয়োজন করে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা আলোচনায় অংশ নেন।

স্থানীয় সরকার ভোট নির্বাচন কমিশন করবে কি না সেই প্রশ্ন তুলে শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, আনুপাতিক ভোট হলেও সকলের অংশগ্রহণ থাকবে। ছোটো ছোটো দল ক্ষমতায় আসতে পারবে। এই সরকারের অধীনে যে ভোট হবে সেটি সুষ্ঠু হবে। তবে পরের ভোটটি কি হবে সেদিকে নজর রাখতে হবে।

সংবিধানে ৪৮ অনুচ্ছেদ পরিবর্তনের প্রয়োজন বলে মনে করেন সাবেক এই সংসদ সদস্য।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য আরিফুর রহমান আদিব বলেন, ত্রয়োদশ নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ। দলগুলো বিচারের চেয়ে পরবর্তী ক্ষমতায় যাওয়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রে সর্বোচ্চ জায়গা দায়িত্ব পালনের পরও বাসনা থাকে এমপি হওয়া। সকল ক্ষমতা উন্নয়ন সবকিছু এমপিকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। বিদ্যমান সংবিধান বা এই ব্যবস্থায় ভোট হলে যেই ক্ষমতায় আসুক তারা কিন্তু ফ্যাসিবাদী দানবে রূপান্তরিত হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে অতিদ্রুত সংখ্যানুপাতিক ভোট নিয়ে যেভাবে ঐক্যমতে পৌঁছানো যায় সে ব্যবস্থা নিতে হবে। তরুণরা কি চাচ্ছে সেই জায়গা থেকে দলগুলোকে গভীরভাবে ভাবতে হবে এবং তরুণদের সঙ্গে সংলাপ করতে হবে।

এমএইচএন/পিএইচ