বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন চট্টগ্রামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আঞ্চলিক  নেতাদের  সাথে পৃথক পৃথক বৈঠক করেছেন। গতকাল এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।    

এনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকারের নেতৃত্বে বিএনপির স্থানীয় নেতারা  চীনা রাষ্ট্রদূতের  সাথে বৈঠক করেন। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহানের নেতৃত্বে দলের নেতারা রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠক করেছেন বলে চীনা দূতাবাসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ইয়াও চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি) দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের প্রধান-প্রধান সব রাজনৈতিক দলের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। 

তিনি বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী  সরকারের সাথে তাদের বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্ক আরও জোরদারের আগ্রহ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে কর্মীদের প্রশিক্ষণ বাড়াতে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের জন্য  চীনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এ ছাড়াও উভয় দেশের জনগণের সুবিধার জন্য ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে চীন আগ্রহী বলেও রাষ্ট্রদূত জানান।

দুই দলের নেতারাই বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি এবং জনগণের কল্যাণে সিপিসি, চীনা সরকার এবং চীনা জনগণের দীর্ঘস্থায়ী সমর্থনের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

তারা চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাথে পার্টি-টু-পার্টি মত বিনিময় এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা আরও জোরদার করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

উভয় পক্ষই ২০২৫ সালে চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক  প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের পাশাপাশি দুই দেশের ‘জনগণের সাথে জনগণের’ মত বিনিময়ের ওপরও গুরুত্ব দেন। 

এনএফ