সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবাজদের নিয়ে কোনোভাবেই বৈষম্যহীন সমাজ গঠন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। 

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে বার বার নেতার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন না হওয়ায় দেশ দুর্নীতিমুক্ত হয়নি। মানুষ অধিকার বঞ্চিত হয়ে হাহাকার করছে। তাই নীতিবান-আদর্শিক নেতার মাধ্যমে দেশকে ঢেলে সাজাতে না পারলে জনগণের দুঃখ ও দুর্দশা থাকবে না।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফকিরবাড়ী স্ট্যান্ডে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ইউনুছ আহমাদ বলেন, যারা দেশের ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি, তারা প্রশাসনের কোথাও দায়িত্ব পালন করার নৈতিক অধিকার রাখে না। তারা ফ্যাসিবাদী হাসিনার দোসর হিসেবে চিহ্নিত হবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্থিতিশীল ও উন্নতি করতে ঘাপটি মেরে থাকা দোসরদের অনতিবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। লালমনিরহাটের একজন ম্যাজিস্ট্রেট যেভাবে আবু সাঈদকে নিয়ে কটাক্ষ করলো তাতে জাতি হতবাক হয়েছে। এ রকম অনেক তাবাসসুম উর্মি প্রশাসনের সব সেক্টরে ঘাপটি মেরে আছে। গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

তিনি বলেন, আবু সাঈদ-মুগ্ধরা রক্তের বিনিময়ে আমাদেরকে স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছে। আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের মাগফিরাত কামনা করছি, আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। জুলাই-আগস্টের শহীদরা ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। উপদেষ্টা পরিষদ দেশকে সংস্কারে কাজ করছেন। কিন্তু পরী সাহেব চরমোনাই সবসময় সংস্কারে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে তার দলে কোনো খুনি, মাস্তান, চাঁদাবাজ নেই। তারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে না। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা দেশের যে কোনো পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে থাকবে।

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, ৫৩ বছর পর মানুষ স্বাধীনভাবে সব কিছু করতে পারছে। আগামীর বাংলাদেশে কাদের হাতে ক্ষমতা ছাড়বেন, তা নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে। কাদের হাতে দেশ, ইসলাম ও মানবতা নিরাপদ থাকবে, এমন রাজনৈতিক দল ও নেতার হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। শিক্ষা কমিশনে ইসলামী স্কলার ও আলেমকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, দলের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা দীন ইসলাম, সহ-সভাপতি হাফেজ আমিন উদ্দিন, মুহাম্মদ আমানউল্লাহ, মুফতি ইমদাদুল হক, ফারুক আহমদ মুন্সি, মুহাম্মদ ওমর ফারুকসহ অনেকে।

এমএইচএন/এমএসএ