মশাল মিছিল করে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি
আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এবং সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর জামিনের প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয়নগরে এই মশাল মিছিল করে দলটি। এ সময় দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের প্রায় পঞ্চাশের অধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
মিছিলটি গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকি ঘুরে আবার এখানে এসে শেষ হয়।
আরও পড়ুন
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে আওয়ামী লীগের যেসব দোসররা ঘাপটি মেরে রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। বিচারবিভাগ ও প্রশাসনে শপথবদ্ধ মুজিববাদীরা রয়েছে, তাদের সরিয়ে দিতে হবে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করা হলে এই সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ ফুঁসে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, কেন সাবের হোসেন চৌধুরী ও এম এ মান্নানকে আটক করা হলো? কেনই বা ক্লিন ইমেজের দাবি করে মুক্তি দেওয়া হলো? এর মাধ্যমে তো আওয়ামী লীগ সাহস পেয়ে যাবে। তারা মনে করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আওয়ামী লীগের প্রতি সফট কর্নার রয়েছে। আওয়ামী লীগ মাঠে নেমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে। এক্ষেত্রে গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে কিন্তু এই সরকারকে তার দায় নিতে হবে।
মো. রাশেদ খান বলেন, আমরা ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিপ্লব চালিয়ে গিয়েছি। আমরা কখনোই কোনো সরকারের দালালি করি নাই। আমরা এই সরকারেরও দালাল হব না। আওয়ামী লীগ ও তার দোসর জাতীয় পার্টির বিষয়ে ছাত্র-জনতার জিরো টলারেন্স রয়েছে।
ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা বলেন, সাবেরের মতো ফ্যাসিবাদের দালালরা জামিনে বের হলে মান্নানের মতো খুনের পরিকল্পনাকারীরা জামিন পেলে গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হবে। আওয়ামী লীগ আবার পুনর্জীবিত হবে। আমাদের সবার জেল-ফাঁসি হবে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের কোনো জামিন দেওয়া চলবে না।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অর্ণব হোসেন, উত্তরের সভাপতি আবির ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক প্রক্রিয়া জাবেদ মায়া, দপ্তর সম্পাদক সানাউল্লাহ প্রমুখ।
এমজে