লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার ভার বিদেশি কোম্পানির হাতে দেওয়ার প্রক্রিয়া আওয়ামী লীগ সরকার অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়েছিল। সেই প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি করে লাভবান হতো আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা। কিন্তু সেই ফ্যাসিস্টের পতন হলেও এর প্রতিভূ যেন এখনো রয়ে গেছে। এটি কোনোভাবেই হতে দেওয়া যাবে না।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি।

শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি টার্মিনালটি একটি আয়বর্ধক টার্মিনাল। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে যথেষ্ট বিনিয়োগ রয়েছে। টার্মিনালটি দেশীয় অপারেটর দ্বারা সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এই মুহূর্তে বিদেশি বিনিয়োগের কোনো প্রয়োজন নেই এবং বিনিয়োগের কোনো সুযোগও নেই। বিগত সরকারের আমলে টার্মিনালটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার পাঁয়তারা সৃষ্টি করা হয়েছিল। সরকার পরিবর্তনের পরেও আগের ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসরদের একটি মহলের ওপর ভর করে টার্মিনালটি বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত এখনো চলমান। এখান থেকে বর্তমান সরকারকে সরে আসতে হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দিলে বন্দরে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা বেকার হয়ে পড়বে এবং শ্রমিক অসন্তোষসহ বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হবে। সম্প্রতি বিদেশি একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালটি তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা বিদেশি বিনিয়োগের বিপক্ষে নই। তবে, নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে না দিয়ে অন্য জায়গায় বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে নতুন টার্মিনাল করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে লোকসানের মুখে রেখে, দেশীয় অপারেটরদের ব্যবসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে কাকে লাভবান করতে চায় সরকার? দুবাইভিত্তিক ডিপি ওয়ার্ল্ডকেই এনসিটি পরিচালনার ভার দিতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এখনো সেই একই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করে সেই সরকারের প্রতিনিধিত্ব করা হচ্ছে কি?

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র সেলিম বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে সালমান এফ রহমানের প্রভাবে ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। তাতে লাভ হতো সালমানের। ফলে অবিলম্বে দেশবিরোধী এই চক্রান্ত থেকে সরে না এলে আমরা রাজনৈতিকভাবে কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

এএইচআর/কেএ