বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেছেন, সাবেক গোয়েন্দা প্রধান হারুন ও বিপ্লব কুমার সরকারের অত্যাচারের কথা মনে পড়লে এখনও চোখে পানি আসে। এই দেশ ছাত্র, শ্রমিক, জনতা মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন করলেও শেখ হাসিনা বলতেন, ‘এই দেশ স্বাধীন করেছে আমরা বাবা। এটা আমার বাবার দেশ।’ তাই আজকে এ অহংকারের পতনের হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা কোন পথে দিয়ে, কার ইঙ্গিত দেশ থেকে পালিয়েছেন তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। রাষ্ট্রপতিসহ সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন শেখ হাসিনা। সচিবালয়ে যখন শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা বসে থাকে তখন শহীদ সাইদ-মুগ্ধ কথার ভেবে চোখে পানি চলে আসে। শেখ হাসিনার প্রেত্মাতারা এখনো ষড়যন্ত্রের গন্ধ আমাদের নাকে আছে। এই ষড়যন্ত্র থেকে আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) বের হতে হবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশে জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলও তার কত জন লোককে গ্রেপ্তার করেছেন? বিদেশে বসে খুনি যারা দেশের বিরুদ্ধে কথা বলছে, জনগণের চাওয়া তাদের দেশে এনে বিচার করুন। ৪৬০ থানার ওসিদের আইনের আওতায় আনুন, তারা বলতে পারবে কোথায় আছে ছাত্রলীগ-যুবলীগের অবৈধ অস্ত্র।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা নির্দেশে বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়েছে। গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা বক্তব্য কেন ফেসবুকে প্রচার হচ্ছে? আওয়ামী শাসনামলে আমাদের নেতা তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার কোন বক্তব্য প্রচার করতে পারেনি কোনো গণমাধ্যম। তাই খুনি শেখ হাসিনা ও তার ছেলে জয়ের বক্তব্য কীভাবে গণমাধ্যম আসে তা জনগণ জানতে চায়।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, আমরা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন চাই। আমাদের ওপর ভরসা রাখবেন। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, এই বিপ্লবী সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে। ছাত্রলীগ যুবলীগ আবারও অস্ত্র হাতে মানুষ খুন করুক— এটা আমরা চাই না। আইন নিজের হাতে তুলে নেব না।

বিক্ষোভ সমাবেশে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (এনপিপি) দলের চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, এই সরকার ব্যর্থ হলে চরম মূল্য দিতে হবে। কারণ এই সরকারের অনেকে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। আওয়ামী লীগের সাথে যোগাযোগ রাখছে। ইতোমধ্যে সরকারের একজন উপদেষ্টার ব্যাপার সবাইকে আপত্তি জানিয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন দেন, তাহলে আপনারা সফল হবেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান। এসময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সফু, ওলামা দলের সাবেক আহ্বায়ক মাওলানা নেছারুল হক, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।

আরএইচটি/এসকেডি