ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবু সাদিক কায়েম বলেছেন, গত ১৬ বছরে ছাত্র-জনতার ওপর হওয়া নির্যাতনের বিচার চেয়ে দেশের প্রতিটি থানায় মামলা করুন। ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী একজন দোসরও যেন আইনের আওতার বাইরে না যায়। দেশের প্রতিটি প্রান্তে ছাত্রশিবির আপনাদের সকল প্রকার আইনি সহায়তা প্রদান করবে।

সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে শহীদ আবরার ফাহাদের ৫ম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘নিরাপদ বাংলাদেশ চাই’ প্ল্যাটফর্মের আয়োজনে ছাত্র-জনতার সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সাদিক কায়েম বলেন, শহীদ আবরার আমাদের জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তিনি আধিপত্যবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অগ্রগামী সৈনিক। ফ্যাসিস্ট হাসিনা গত ১৬ বছরে বাংলাদেশকে ভারতের কলোনিতে পরিণত করেছিল। ফ্যাসিস্ট সরকার সাংস্কৃতিক গোলামি, রাজনৈতিক নিপীড়নের মাধ্যমে আমাদেরকে শোষণ করেছে। যারা এসবের বিরুদ্ধে কথা বলেছে তাদের নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, অনেককে জীবন দিতে হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ১৬ বছর বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে ছাত্রশিবির। প্রতিটি ক্যাম্পাসে শিবিরের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করে অনেককে শহীদ করা হয়েছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। শুধু তাই না, আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার পর স্বৈরাচারের দোসররা আবার আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা দিয়েছে। আবরার ফাহাদের শহীদ ও ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা আমাদের মৌলিক অধিকার ফিরে পেয়েছি। আমরা কথা বলা ও প্রকাশ্য রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছি।

এ সময় তিনি শহীদ আবরার ও জুলাই বিপ্লবে শহীদদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের ওপর অটল থাকার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।

সংহতি সমাবেশে- জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, একতার বাংলাদেশের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আব্দুল ওয়াহেদ, এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কেএইচ/এসকেডি