ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, স্বৈরাচার যারা নাকি খুনি, ফ্যাসিস্ট, তারা যেন নির্বাচন করার সুযোগ না পায়,  সেটা আমরা উপদেষ্টাদের বলেছি।

শনিবার (৫ অক্টোবর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজ আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সঙ্গে আমরা নির্বাচন সংস্কারের কথা বলেছি। তাদের সঙ্গে দেশের কল্যাণের ব্যাপারে কথা বলেছি। নির্বাচন সংস্কারের ব্যাপারে কথা বলেছি। নির্বাচন সংস্কারের ব্যাপারে বলেছি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছরে জাতীয় যে নির্বাচনগুলো হয়েছে সে নির্বাচনগুলোর বেশির ভাগই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিল না।

সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, আমরা পিআর সিস্টেম অর্থাৎ প্রতিটা ভোটারের ভোট মূল্যায়ন হবে। জাতীয় সরকার যেটা আমরা বলি, সমস্ত প্রতিনিধিদের দলীয় মার্কায় বাংলাদেশের জনগণ ভোট দেবে। ভোটের আনুপাতিক হারে প্রতিনিধি সংসদে দায়িত্ব পালন করবে। এ পদ্ধতির কথা আমরা বলেছি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, ৫ আগস্ট স্বাধীন হয়েছে বহু রক্ত বহু জানের বিনিময়ে। আপনার যে ম্যান্ডেট বা জনগণের সমর্থন নিয়ে দেশ পরিচালনা করছেন, আপনাদের তো কোনো দুর্বলতা নেই, তাহলে কেন খুনি এবং দেশের টাকা পাচারকারীরা দেশ থেকে পালাল, সেটা আমার বোধগম্য না। এটা জাতি জানতে চায়। জাতি এটা মানতে চায় না। আপনাদের দুর্বলতা প্রকাশ পায়। আপনাদের উচিত হবে খুনি, টাকা পাচারকারীদের আটকে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা।

তিনি বলেন, আমরা ৬টি সংস্কার কমিশনের সঙ্গে আরও ৯টি কমিশন গঠনের গঠনের প্রস্তাব করেছি। এগুলো হলো– আইন বিষয়ক সংস্কার কমিশন, নাগরিক সেবা বিষয়ক সংস্কার কমিশন, পররাষ্ট্র বিষয়ক সংস্কার কমিশন, শিক্ষা বিষয়ক সংস্কার কমিশন, বাকস্বাধীনতা বিষয়ক সংস্কার কমিশন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশন, শ্রমজীবী বিষয়ক সংস্কার কমিশন, সংখ্যালঘু ও নৃগোষ্ঠী বিষয়ক সংস্কার কমিশন এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক সংস্কার কমিশন।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেন।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ।

এমএসআই/এসএসএইচ