জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ উপহার দিয়েছে চোরের খনি। বিপরীতে সিরাত অনুসারীরা উপহার দিয়েছে সোনার মানুষ। আজ আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে দেশে কি চোরের খনি থাকবে নাকি আমরা সোনার মানুষে সোনার দেশ গড়তে চাই। সিরাতের পথে না চললে আমরা ওমর (রা.) এর মতো ব্যবসায়ী নয়, সালমান এফ রহমানের মতো চোর উপহার পাব।

শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সিরাত উদযাপন কমিটি আয়োজিত সিরাতুন্নবী (সা.) মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, এমন এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে সিরাত মাহফিল হচ্ছে যখন রাষ্ট্র মেরামতের কাজ চলছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাই মানুষের তৈরি করা তন্ত্রমন্ত্র বা মতবাদ দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার করে উই ওয়ান্ট জাস্টিস বা অধিকার আদায় করা যাবে না। রাষ্ট্র মেরামতের সঙ্গে সিরাতকে সংযুক্ত করতে হবে। মানুষের দাবি আদায়ের পথকে সহজ করে দিতে হবে। যদি সিরাতকে সামনে রেখে সংস্কার করা হয় তাহলে হজরত ওমর (রা.) এর মতো ব্যবসায়ী তৈরি হবে। নইলে সালমান এফ রহমানের মতো ব্যবসায়ী তৈরি হবে। সিরাত সামনে রাখলে হজরত ফাতেমা (রা.), খাদিজা (রা.) তৈরি হবে। নইলে পলাতক শেখ হাসিনা তৈরি হবে। বাংলাদেশের মানুষ সিরাতের মাধ্যমে সেই সোনালী যুগে ফিরে যেতে চায়।

‘আজ আমরা সিরাতের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করতে পারিনি বলেই তৈরি হয়েছে হেলমেট, হাতুড়ি লীগ বাহিনী। এখন প্রশ্ন তৌহিদী জনতা সিরাতের শিক্ষা চায় নাকি হেলমেট বাহিনীকে চায়।’

তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সিরাত ছাড়া সোনার মানুষ, সোনার দেশ গড়া সম্ভব না। মসজিদ থেকে মন্ত্রণালয় চালানোর মতো সিরাতের পথে চলা যোগ্য লোকদের আমরা ক্ষমতায় বসানোর চ্যালেঞ্জ আমাদের নিতে হবে।

ফাসিস্ট হাসিনার দোসর যারা বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে থেকে ইসলামপন্থি ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে কটাক্ষ করেন তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে মাসুদ বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, বারবার আসবে। বারবার আন্দোলন দাড় করানো হবে।

মাওলানা আবু তাহের জিহাদির সভাপতিত্বে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া সিরাতুন্নবী মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আন্দরকিল্লাহ শাহী জামে মসজিদের খতিব আওলাদে রাসূল সাইয়্যেদ আনোয়ার হোসাইন তাহের আল জাবের আল মাদানী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাইয়েদ কামাল উদ্দিন আব্দুল্লাহ জাফরি, মাওলানা মুসাদ্দিক বিল্লাহ আল মাদানী, শায়খ মাওলানা আব্দুল হামিদ, ড. মুফতি আবু ইউসুফ খান, মাওলানা শাখাওয়াত হোসাইন রাজী, ড. খলিলুর রহমান মাদানী, কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, প্রফেসর ড. রফিকুর রহমান মাদানী, মুহাদ্দিস মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, মাওলানা ড. জাকারিয়া নূর, শায়খ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, হাফেজ মাওলানা মুফতি আমির হামজা।

অনুষ্ঠানের বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে নাশিদ পরিবেশন (ইসলামী সংগীত) পরিবেশন করেন সাইমুম, মহানগর, অনুপম, জাগরণ, সওগাত নিমন্ত্রণ শিল্পীগোষ্ঠীসহ দেশের খ্যাতনামা শিল্পীগোষ্ঠী ও শিল্পীরা।

জেইউ/এসএসএইচ