গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার কোনো সুযোগ নেই। গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে এগিয়ে নিতে এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে সফল করতে রাজনৈতিক দলগুলোও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কাজেই অবিলম্বে যে সমস্ত ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রয়োজন, তা চিহ্নিত করে দলগুলোর সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করা উচিত। 

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাজধানীর হাতিরপুলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রুবেল বলেন, গণসংহতি আন্দোলন ছাত্র-শ্রমিক-জনতার এই লড়াইয়ের সঙ্গে প্রথম থেকেই ছিল এবং আছে। অভ্যুত্থানের শহীদরা যাতে ন্যায়বিচার পান, আহতরা যাতে সঠিক চিকিৎসা পান, সে বিষয়ে আমরা সম্ভাব্য সব উপায়ে সোচ্চার থাকতে ও পদক্ষেপ নিতে চেষ্টা করেছি। 

তিনি বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের জনগণের সম্মিলিত প্রয়াস। এখানে কেউ অগ্রবর্তী ভূমিকা নিতে পারেন, কিন্তু জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া এটা কখনোই সাফল্যের দিকে যেতে পারত না। ফলে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকার ছাত্র-শ্রমিক-মধ্যবিত্তসহ সমস্ত জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করবে, তাদের স্বার্থের পক্ষে অবস্থান নিয়ে পদক্ষেপ নেবে, সেটিই কাম্য।

আবুল হাসান রুবেল বলেন, সামনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা। এই দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে যাতে কোনোভাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবমুখর পরিবেশের বিঘ্ন না ঘটে এবং একে কেন্দ্র করে কেউ যাতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সরকারকে বিপদে ফেলার মতো ঘটনা ঘটাতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই।

এছাড়া, অবিলম্বে প্রশাসনকে সম্পূর্ণভাবে কার্যকর করা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বা গুমের মতো ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে আহ্বান জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন, কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক রায়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আলিফ দেওয়ান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মনিরুল হুদা প্রমুখ। 

এদিকে, আগামী নভেম্বর পর্যন্ত গণসংলাপ কর্মসূচি দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। ৪ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জে, ১৭ অক্টোবর বরিশালে, ১৮ অক্টোবর খুলনায়, ১৯ অক্টোবর রাজশাহীতে, ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে, ২৬ অক্টোবর রংপুরে, ১ নভেম্বর সিলেটে, ২ নভেম্বর ময়মনসিংহে গণসংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। ২৯ নভেম্বর ঢাকায় গণসংলাপের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই কর্মসূচি।

এএইচআর/কেএ