ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতির ওপর জরুরি সভায় তারা এসব কথা বলেন।

নেতারা বলেন, স্বৈরাচারের দোসর এবং বিদেশি শক্তির ইন্ধনে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্র বিদ্যমান। যার ধারাবাহিকতায় পার্বত্য জেলাগুলোতে সহিংসতা হয়েছে। যেকোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধভাবে এই অপশক্তির অপচেষ্টা রুখে দিতে হবে।

তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে একটি পক্ষ দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কঠোরভাবে নৈরাজ্যকারীদের দমন করার জন্য কাজ করতে হবে। এই বিপ্লবের গণহত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

১২ দলীয় জোট নেতারা আরও বলেন, প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে অনেক স্বৈরাচারের দোসররা। তারাই দেশকে অস্থিতিশীল করার ব্যাপারে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হলেও গণতন্ত্র এখনও নিরাপদ নয়।

সভায় জোট প্রধান সাবেক মন্ত্রী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার সভাপতিত্ব করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব আব্দুল করিম, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারম্যান ফিরোজ মোহাম্মদ লিটন ও নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান।

আরএইচটি/এসএসএইচ