আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের মূল দায়িত্বে যেসব কর্মকর্তা ছিলেন তারা এখনও নিজ নিজ দায়িত্বে রয়ে গেছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এখনও তাদের সরিয়ে পরিবর্তনের পক্ষের কিংবা নিরপেক্ষ লোক বসানো সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ফখরুল।

৫ আগস্টের পরিবর্তন ছোটখাট বিষয় নয় উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এর মাধ্যমে একটা জাতি ও গোটা দেশকে বদলে দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশের মতো দেশে এ ধরনের পরিবর্তনের ফলে তদবির অনেক বেড়ে যায় বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, তখন সবাই নতুন সরকারের কাছাকাছি যেতে চায়। ফলে, আমরা যদি আশা করি, এই সরকার এত দ্রুত সবকিছু ম্যানেজ করবে—এটা আশা করা ঠিক হবে না।

ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ কম হচ্ছে, সেই কারণে এখানে একটা শূন্যতা তৈরি হচ্ছে। এই কারণে বিপ্লবের পর থেকে যে ঘটনাগুলো শুরু হয়েছে, তা কিন্তু কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।   

“প্রথমে আনসারদের ঘটনা ঘটানো হয়েছে পরিকল্পিতভাবে সরকারকে বিপদগ্রস্ত করার জন্য। এরপর বিভিন্ন ধরনের লোকজন তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সর্বশেষ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রদের ঘটনা (ছাত্রদের হত্যা), সেটাকে আমি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি না” — বলেন মির্জা ফখরুল।

“রাষ্ট্রের মধ্যে বর্তমানে যে সংকট আছে, তা উত্তরণে রাজনৈতিক দলগুলোর বেশি-বেশি আলোচনা করা দরকার। সেটা হয়তো কোনো কারণে সম্ভব হচ্ছে না। অন্তবর্তী সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা কিছুটা কম হচ্ছে”—মন্তব্য করেন ফখরুল।

এ সংকট শতভাগ রাজনৈতিক বলে মনে করনে মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, “৫ আগস্টের পরিবর্তনটা রাজনৈতিক। দীর্ঘ আন্দোলনটা ছিল রাজনৈতিক। এখন সেখানে রাজনৈতিক একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে।’’

এএইচআর/এসএম