ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করীম বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার ভারতের স্বার্থে সবকিছু করেছে। ভারত থেকে নিম্নমানের পাথর আমদানির মাধ্যমে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করার সুযোগ দেওয়া হয়। প্রতিবছর নিম্নমানের পাথর ক্রয়ের ফলে ভারতে চলে যায় দেশের ৫ বিলিয়ন ডলার।

আজ (রোববার) বিকেলে পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ভারতকে খুশি করতেই পরিবেশের দোহাই দিয়ে দেশের পাথর উত্তোলন বন্ধ করে ভারতে টাকা পাচার করা হয়েছে। আর বিনিময়ে ভারত আমাদেরকে নিম্নমানের জিনিস দেয়, বর্ষা মৌসুমে ডুবিয়ে মারে, শুষ্ক মৌসুমে পানি বন্ধ করে মরুভূমিতে পরিণত করে। এটাই ভারতের বন্ধুত্বের নমুনা।

তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে পাথর কোয়ারীদের দাবি মেনে নিয়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান।

মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, অনতিবিলম্বে পাথর কোয়ারি খোলে দিয়ে ঋণ খেলাপিতে ধসে পড়া ব্যবসায়িদের ঋণ মওকুফ করতে হবে। ভারতের পাথর আমদানি করা বন্ধ করুন।

তিনি বলেন, বিগত সরকার ভারতের তাঁবেদারি করতে গিয়ে আমাদের দেশীয় খনিজ সম্পদকে বিকল করে কোটি কোটি ডলার খরচ করে বিভিন্ন দেশ থেকে নিম্নমানের পাথর আমদানি করেছে। নিকট অতীতে বাণিজ্যিকভাবে পাথর উত্তোলন একটি লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছিল। ফলে সিলেটসহ সারা দেশের বিভিন্ন পাথর অঞ্চলে লাখ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। তাই ভারতের পাথর না নিয়ে আবারও দেশে পাথর উত্তোলন করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন— মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের মহাসচিব মুফতি রেজাউল করীম আবরার, বুনিয়ান আবাসনের চেয়ারম্যান মাওলানা রশীদ আহমদ ফেরদৌস, মুফতি ইমাম উদ্দীন, সিলেট বিভাগীয় পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক শওকত আলী বাবুল, কোম্পানিগঞ্জ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল আজিজ, কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিমুল ইসলাম, জাফলং পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস উদ্দিন লিপু, পাথর ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান, আবীর মাহমুদ পাথর মহলের স্বত্বাধিকারী মুফতী ইমাম উদ্দীন।

জেইউ/এমএ