কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে নারীর গায়ে হাততোলাসহ অসম্মানজনক আচরণের ঘটনায় অভিযুক্ত ফারুকুল শিবিরের কেউ নয়। তার সঙ্গে শিবিরের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তাতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন স্থানে কিছু যুবককে নারীদের গায়ে হাত তোলাসহ অসম্মানজনক আচরণ করতে দেখা গেছে এবং তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

এ ন্যক্কারজনক ঘটনায় ফারুকুল ইসলাম নামের এক যুবককে বিশেষভাবে সক্রিয় দেখা গেছে। তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যদিও ফারুকুল ইসলাম সরাসরি নিজেকে ছাত্রশিবির বলে পরিচয় দেয়নি। তবে তার ফেসবুক ওয়ালে কিছু পোস্ট শেয়ারের কারণে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে যে, সে ছাত্রশিবিরের সঙ্গে জড়িত। এই বিভ্রান্তির ফলে ছাত্রশিবিরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো যাচ্ছে যে, ফারুকুল ইসলাম বা তার এই ধরনের আচরণের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের দূরতম কোনো সম্পর্কও নেই। ছাত্রশিবির সবসময় নারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এবং নারীদের অসম্মান, অশ্রদ্ধা বা যেকোনো ধরনের অপমানজনক আচরণের তীব্র বিরোধিতা করে থাকে।

ফারুকুল ইসলামের আচরণ ছাত্রশিবিরের আদর্শ ও নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত। আমরা নারীদের সম্মানহানিকর যেকোনো কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, নারী বা পুরুষ, যে কেউ অপরাধ করলে আইনগত সহায়তা বা ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। তবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া বা কারও বিরুদ্ধে সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়। সবার উচিত সর্বদা আইন ও ন্যায়বিচারের পথে চলা।

জেইউ/এমএ