গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বাংলাদেশর মানুষ নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য লড়াই করছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই সেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশকে যারা আবার পুরনো ফ্যাসিস্ট কাঠামোয় ফেরত নিতে চায় তাদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে৷

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) মোহাম্মদপুরের বেঙ্গলি মিডিয়াম হাইস্কুলে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে মোহাম্মদপুর-আদাবর অঞ্চলে আহত-নিখোঁজ ও শহীদদের তালিকা প্রকাশ ও স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, যে মানুষ জনগণের প্রয়োজনে, রাষ্ট্রের প্রয়োজনে জীবন দিতে পর্যন্ত কুণ্ঠাবোধ করেননি তারা এ জাতির জন্য প্রজন্ম থেকে প্রজন্মতরে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম দায় তাদের জাতীয় বীরের মর্যাদা দেওয়া। আর প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের যথাযথ বিচার করা। নতুন বাংলাদেশে ন্যায়বিচারকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। যারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত শেখ হাসিনাসহ প্রত্যেকের বিচার করতে হবে৷

গার্মেন্ট শ্রমিকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে জোনায়েদ সাকি বলেন, নায্যমজুরির দাবিতে শেখ হাসিনার আমল থেকে শ্রমিকরা লড়াই করেছেন, জীবন দিয়েছেন। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে শ্রমিকের ন্যায্য মজুরির দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাই। অন্যদিকে শ্রমিক ভাই-বোনদের বলি, এই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদের পাশাপাশি জনতাও অংশগ্রহণ করেছেন। জনতার শ্রমিক-কৃষক-শ্রমজীবী মানুষও রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, সাভার-আশুলিয়া অঞ্চলে শ্রমিকরা জীবন বাজি রেখে ফ্যাসিস্টদের প্রতিরোধ করেছেন তাই বলি পতিত, ফ্যাসিস্টরা যাতে কোনো ষড়যন্ত্র করতে না পারে, সে ব্যাপারেও শ্রমিকদের সচেতন থাকতে হবে।

মোহাম্মদপুর থানার সংগঠক ফাইয়াজ ফিরোজের সভাপতিত্বে ও গণসংহতি আন্দোলনের সংগঠক হাসান আল মেহেদীর সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমম্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, বিশিষ্ট সাংবাদিক আশরাফ কায়সার, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, উত্তরের আহ্বায়ক মনিরুল হুদা বাবন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবু হানীফা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক নুসরাত হক, মোহাম্মদপুর থানা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি সজল আহমেদ প্রমুখ।

এএইচআর/এসকেডি