বিগত বছরগুলোতে শিক্ষার্থীদের গিনিপিগ বানিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের গোটা একটি প্রজন্মকে নিয়ে চূড়ান্ত স্বেচ্ছাচারিতা করা হয়েছে, ধ্বংস করে দেওয়া শিক্ষা ব্যবস্থা।

শুক্রবার ( ১২ সেপ্টেম্বর) সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

উপযুক্ত শিক্ষার পরিবর্তে যেকোনো ভাবে পাস করানোই ছিল উদ্দেশ্য দাবি করে সাইফুল হক বলেন, একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক, গণতান্ত্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার। এক দিকে শিক্ষার বৈষম্য সামাজিক বৈষম্যকে প্রকট করে তুলছে, অন্যদিকে সামাজিক বৈষম্যও শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্য বাড়িয়ে তুলছে।

১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ ও সংস্কারের লক্ষে ছয়টি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই জাতীয় সংসদের মধ্য দিয়ে সংস্কারকে টেকসই রূপ দিতে পারেন। রাজনৈতিক দল ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের মতামত ও সম্মতির ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার জরুরি কাজগুলো এগিয়ে নেবে, সেই আশা আমাদের।

সাইফুল হক বলেন, পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অনেকে নানা বেসামাল ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য রেখে চলেছে। ঘর পোড়ার মধ্যে যারা আলু পোড়া দিয়ে খেতে চান তাদের ব্যাপারে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।

বিপ্লবী ছাত্র সংহতির সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা ফায়েজুর রহমান মনিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় সংহতি বক্তব্য রাখেন শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি নারী নেত্রী বহ্নিশিখা জামালী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আবু হাসান টিপু, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, বিপ্লবী যুব সংহতির আহবায়ক বাবর  চৌধুরী ও সদস্য সচিব মীর রেজাউল আলম প্রমুখ।

প্রতিনিধি সভায় আগামী ১৬ নভেম্বর বিপ্লবী ছাত্র সংহতির কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফায়েজুর রহমান মুনিরকে আহ্বায়ক, রফিকুল ইসলাম অভিকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিপ্লব হোসেন খানকে সদস্য-সচিব করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়।

এএইচআর/এসকেডি