অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার বাস্তবায়নের গতি খুবই হতাশাব্যঞ্জক বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।

তিনি বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে দেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্য ৮৩টি প্রস্তাব উপস্থাপন করি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সংস্কার বাস্তবায়নে গতি খুবই হতাশাব্যঞ্জক। অভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের সব কর্মকাণ্ড স্বচ্ছতা ও দ্রুতগতিতে বাস্তবায়ন না হলে সমস্যা আরও বাড়বে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এলডিপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির সাবেক এই নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে দেওয়া অনেক নিয়োগ নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। লোক দেখানো কাজ করলে হবে না। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে অধিকতর সতর্কতার সঙ্গে নিয়োগ দিতে হবে।

অথর্ব ও অকর্ম ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না বলেও মন্তব্য করেন অলি। তিনি বলেন, এমনটা করলে ছাত্র-জনতার রক্ত ব্যর্থ হবে।

তিনি আরও বলেন, একজন উপদেষ্টা বলেছেন- জাতীয় সংগীত একটি বিতর্কিত বিষয় এটি পরিবর্তন করা যাবে না। তার জানা উচিত, জনগণের মতামতের ওপর ভিত্তি করে সব কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব।

গণভবন কারও বাবার সম্পত্তি নয়, এটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান ও গর্ব উল্লেখ করে অলি আহমদ বলেন, এটি জাদুঘর করা অবশ্যই প্রয়োজন। তবে, প্রশ্ন হলো গণভবন কেন? অন্য কোনো জায়গা নয় কেন?

এএইচআর/এমএ